অন্যান্যজাতীয়রাজনীতি

ময়মনসিংহে ৪১লাখ টাকা ব্যয় করে তৈরি করা ‘জয় বাংলা চত্বর’টি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র জনতা

শহর প্রতিনিধি ঃ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানের মত ময়মনসিংহেও শুরু হয়ছে বুলডোজার কর্মসূচি।ময়মনসিংহের ব্র‏হ্মপুত্র নদেরকূল ঘেষা শম্ভুগঞ্জ সেতুর পাশে ৯ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে ‘জয় বাংলা চত্বর’ নির্মাণ করা হয়েছিলো। প্রায় ৪১ লাখ টাকা ব্যয় করে ‘জয় বাংলা চত্বর’ টি সে সময়ের ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু করেন। মেয়রের পরিকল্পনায়ই চত্বরটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। যার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর এবং প্রায় ২৪ মাসে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি ) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা বুলডোজার নিয়ে এসে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ সেতুর পাশে নির্মিত ‘জয় বাংলা চত্বর’টি ভেঙে ফেলে। এই জয় বাংলা চত্বরটি ৩০ ফুট উঁচু অবকাঠামোর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ছিলো।

বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা জানায়, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সকল স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার জন্যই ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ সেতুর পাশে নির্মিত ‘জয় বাংলা চত্বর’টি ভেঙে ফেলে এবং তাদের স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তার বাবার বিভিন্ন ভাস্কর্যের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে আমারা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। শ্রমজীবী ও মেহনতী মানুষের ঘাম ঝরানো টাকা তারা আত্মসাৎ করেছে। বিভিন্ন ভাস্কর্য বা মূর্তির নামে কোটি কোটি টাকা বাইরের দেশে পাচার করেছে। তারা আরো বলেন, এই টাকা গুলো এই খাতে ব্যবহার না করে, অসহায় গরীবদের মাঝে দান করলেও পারতো।

এছাড়াও বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার একাংশ বলছে, এই স্থাপনা গুলো অহেতুক ও লোক দেখানো। আমরা চাই পরবর্তীতে যেই আসুক তারা যেন এমন কাজ না করতে পারে। যেই আসুক না কেন তারা যেন দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে। অহেতুক ভাবে এরকম লোক দেখানো স্থাপনা করে সাধারণ মানুষের টাকা লুট না করতে পারে।

প্রায় ৪১লাখ টাকা ব্যয় করে নির্মিত ‘জয় বাংলা চত্বর’টি এত দিন সাধারণ মানুষের কি উপকারে এসেছে, এমন প্রশ্ন দিয়ে জানতে চেয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। লক্ষ লক্ষ টাকার নির্মিত এই স্থাপনা গুলো এখন শুধুই ধূলো।