ময়মনসিংহ নগরীতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অটোরিকশা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে নগরবাসী
শহর প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ নগরীতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অটোরিকশা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পরেছে নগরবাসী। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নগরীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট ছয়টি রুটে অটো চলাচলে নির্দেশনা দেয় । এই নির্দেশনা অনুযায়ী নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অটো চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় জিলা স্কুল মোড় থেকে নতুন বাজার হয়ে গাঙ্গিনারপাড়, সি.কে ঘোষ রোড, দূর্গাবাড়ী রোড এবং স্বদেশী বাজারে অটো চলাচল বন্ধ থাকার আদেশ দেয়। অটোচালক ও মালিকরা এর প্রতিবাদে (১৯ জানুয়ারি) কর্মবিরতি ও আন্দোলনে নেমেছিলো অটোচালক ও মালিকরা। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘেরাও ও বিক্ষোভ মিছিল করে অটো চালকরা। তারা সিটি কর্পোরেশনের সামনে সড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে । এখনো দাবী আদায় না হওয়ায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য অটোরিকশা বন্ধ রেখেছে, অটোরিকশা শ্রমিকরা।
ময়মনসিংহ নগরীতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অটোরিকশা বন্ধ থাকার প্রথম দিনের সোমবার (২৭জানুয়ারি) চিত্রে দেখা যায় সাধারণ জনগের ভোগান্তির চিত্র। ব্রিজ মোড় চরপারা মোড় গাঙ্গিনাপারসহ বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশা দেখা যায়নি, মিশুক ও রিকশা দেখা গেলেও যাত্রী শুন্য পাওয়া মুসকিল আর পাওয়া গেলেও ভাড়া দিতে হচ্ছে দ্বিগুন।
অটোরিকশা শ্রমিকরা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের এমন নির্দেশনা তাদের জন্য ক্ষতির কারণ বলে তারা জানায়। লাইসেন্সের জন্য ৮ হাজার টাকা খরচ করা হয়। আমরা এক বছরের টাকা জমা দেই, কিন্তু আমরা গাড়ি চালাই মাত্র ছয় মাস। তারপরেও প্রশাসনে পক্ষ থেকে ছয়টি রোড বাদে সব সড়কে অটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এতে হাজারো অটোচালকের পথে বসার উপক্রম হয়েছে এখন বাদ নেই অটোরিকশা মালিকেরাও। এরকম সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতেই হবে,এটাই আমাদের দাবী।
ভোগান্তিতে পরা ময়মনসিংহ নগরবাসীরা জানায়, অটোরিকশা না থাকায় ভোগান্তিতে পরেছি আমরা। মাসকান্দা থেকে হেটে হেটে ব্রীজ পর্যন্ত আসলাম, জরুরি কাজে পাচ্ছি না রিকশাও বা পেলেও ভাড়া চাচ্ছে দুইগুন। এখন আর দাড়িয়ে না থেকে হেটে আসা। অন্য আরেকজন জানায়, তাদের সমস্যা দ্রুত সমাদান না হলে সাধারণ কর্মজীবিদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সময়মত পাচ্ছে না অটোরিকশা বা অন্যান্য যানবাহন, সময় নষ্ট হচ্ছে এবং খরচ হচ্ছে আরো দ্বিগুণ টাকা।
আবার অনেকের কথা,সিটি কর্পোরেশনের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও যানজট কমে যেত। এখন হয়েছে এর বিপরীত তাদের আন্দোলন ও বিক্ষোভ এর জন্য বন্ধ রয়েছে সকল অটোরিকশা সহ সকল যানবাহন। মধ্যবিত্ত ও কম আয়ের মানুষের জন্য অটো রিক্সা ছিলো চলাচলের বাহন। অটোরিকশা বন্ধ থাকায় এখন বিপাকে পড়েছে নগরবাসী। সকাল থেকেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীসহ সাধারণ মানুষ।সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করলেও তাতেও বাধা দিচ্ছেন অটো শ্রমিকরা।যানজট কমাতে হলে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে যানজট অনেকটাই কম হবে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।