ময়মনসিংহে জনির উপর পুলিশী নির্যাতনের করুন কাহিনীঃ এসপির দৃষ্টি অাকর্ষন
স্টাফ রিপোর্টারঃ এজাহারে নাম নেই, তারপরও ১নং ফাঁড়ি পুলিশের দারোগা উজ্জ্বল সাহা প্রায় দেড় মাস অাগে কোতোয়ালি থানায় দেয়া এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনি রায় নামে এক যুবককে ১৮ই জুলাই গাঙ্গিনারপাড় থেকে ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে তার অধিনস্ত একজন কনষ্টেবল দিয়ে বেদম পিটিয়ে অাহত করে জেলে পাঠিয়েছে। জনির ডান হাত বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলে দিয়েছে। এখন আঘাতপ্রাপ্ত হাত দিয়ে অনবরত পুঁজ পড়ছে।
সুত্র জানায়,মোঃ সুমন নামে জনৈক ব্যাক্তি গত ১২ ই মে কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগে জানায় চরপাড়ায় মেনস ওয়াল্ড নামে তার একটি কাপড়ের দোকানের টিনের চাল কেটে অজ্ঞাত নামা চোর প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে। এ ঘটনায় থানায় ৫৬ নং মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর প্রায় দেড়মাস পর ১৮ই জুলাই দুপুরে গাঙ্গিনারপাড় থেকে জনিকে ধরে ১নং ফাড়ির দারোগা উজ্জ্বল সাহা ঘটনাস্থলেই জনিকে দুই গালে
১৫/২০ টি চড় মারে। তারপর ফাঁড়িতে নিয়ে একজন কনষ্টেবলকে দিয়ে বন্দুকের বাট দিয়ে ডান হাতের কবজি পর্যন্ত পিটিয়ে থেঁতলে দেয়। সারা শরীরে বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বিকালে থানায় পাঠায়। ঐদিনই জনিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ফাঁড়ি থেকে
থানায় পাঠানোর সময় জনির মোবাইল ও দোকানের বাজার করার প্রায় ৫ হাজার টাকা দারোগা রেখে দেয়। এদিকে সোমবার দিন জনির জামিন দেয় অাদালত। মঙ্গলবার দিন জেল থেকে ছাড়া পায়।
এদিকে বন্দুকের বাট দিয়ে ডান হাতের কবজি পর্যন্ত ক্রমাগত অাঘাতে হাতে পঁচন ধরেছে। শহরের কালিশংকর গুহ রোডে( অাড়ং উল্টোদিকে) একটি চা পানের দোকান করে বিধবা শ্বাশুড়ি, স্ত্রী,শ্যালক ও শ্যালিকা সহ কোনমতে জীবন চালিয়ে থাকে জনি। এলাকায় সবাই জানে জনি ভালো ছেলে। তার নামে কোন খারাপ রেকর্ড নেই। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জনিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বেদম প্রহার করা হয়েছে। এমন অমানুষিক নির্যাতন করার নেপথ্যে কি অাছে,তা তদন্ত করা প্রয়োজন।
অামাদের প্রত্যাশা থাকবে মানবিক পুলিশ সুপার বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে নিরীহ জনির উপর নির্যাতনের রহস্য উদঘাটন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।