যাত্রীবাহী লঞ্চ চালু না হলে ২৩ মে থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের
স্টাফ রিপোর্টার: ২২ মে’র মধ্যে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচলের ঘোষণা দেওয়া না হলে ২৩ মে-২০২১ সকাল ১১ টা থেকে বিআইডাব্লিউটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন।ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ শাহ আলম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এক যুক্ত বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত দেড় মাসেরও অধিককাল ধরে লকডাউনের নামে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার ফলে বেতন-বোনাস না পেয়ে চরম অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে নৌযান শ্রমিকসহ নদী বন্দর সমুহে দিন মজুর হিসাবে কাজ করা লক্ষ লক্ষ শ্রমিক।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন, বর্তমানে সারাদেশে কোথাও লকডাউন কার্যকর নাই এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে না কোথাও। গণপরিবহন বন্ধের নামে যাত্রী সাধারণকে চরম দুর্ভোগে ফেলে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয়ে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রয়েছে। ইদের পূর্বে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে অর্ধ কোটিরও বেশি মানুষ চরম দুর্ভোগ ও কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয় করে পরিবার-পরিজনের কাছে পৌছাতে কোন অসুবিধা ও বাধার সম্মুখিন হয়নি। ফেরিঘাট গুলোতে যাত্রীদের প্রচন্ড ভীড়ে পদপিষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যুর মত মর্মান্তিক ঘটনার পরেও কি কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা আশা করেছিলাম সরকার ঘরে ফেরা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ প্রত্যক্ষ করার পর যাত্রীবাহী লঞ্চ ও দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিবেন। কিন্তু ঈদের পর আবারো দুরপাল্লার গণপরিবহণ ১ সপ্তাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা আমাদেরসহ সমগ্র দেশবাসীকে হতাশ করেছে। আবারো চরম ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে ঈদ ফেরত দরিদ্র যাত্রী সাধারণের কর্মস্থলে ফিরে আসা শুরু হয়েছে পূর্বের মতোই। সারাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় যেহেতু কোথাও লকডাউন মূলত কার্যকর নাই। তাই বিগত প্রায় তিন মাস যাবত বেতন-বোনাস না পাওয়া নৌ-যান শ্রমিকদের চরম দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে এবং দক্ষিণাঞ্চলের দরিদ্র যাত্রী সাধারণকে স্বল্প ব্যয়ে এবং নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চের চলাচলের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আমরা বারবার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে লঞ্চ চলার ঘোষণা না আসায় আবারো সরকারে কাছে আগামী ২২ মে’র মধ্যে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচলের ঘোষণা প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করি সরকার শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে ২২ মে’র মধ্যে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচলের ঘোষণা প্রদান করে চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় নিপতিত নৌযান শ্রমিকদেরকে উদ্ধার করবেন । বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন, শ্রমিকদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আগামী ২৩ মে সকাল ১১ টা থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের ঘোষণার দাবিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবে নৌযান শ্রমিকরা। নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচি সফল করার জন্য সকল স্তরের নৌ শ্রমিকদেরকে প্আরতি আহবান জানান।