অন্যান্য

লকডাউনে দরিদ্র পরিবারকে আহার যোগাচ্ছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ পরিবার

রবীন্দ্রনাথ পালঃ তিনি একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা।জেলার অাইনশৃঙ্খলা রক্ষার গুরু দায়িত্ব যার কাঁধে। সবসময় তটস্থ থাকতে হয়।
এতকিছুর পরও সাধারন মানুষকে নিয়ে যিনি ভাবেন তিনি হলেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোঃ অাহমারউজ্জামান। দীর্ঘ ১৫ দিনের লকডাউনে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষরা যখন অসহায়। কিভাবে সন্তানদের মুখে দুমুঠো অাহার তুলে দিবে এ চিন্তায় চোখের ঘুম হারাম, তখন নীরবে এগিয়ে এলেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার অাহমারউজ্জামান।

গত ১৫ দিনের কঠোর লকডাউনে পুলিশ সুপার যেমন গোপনে তালিকা করে নরসুন্দর, বেদে, মুচি, অটোচালক প্রতিবন্ধীদের ১০ টাকার বিনিময়ে দুদিনের খাবার পৌঁছে দিয়েছেন, তেমনি তার স্ত্রী পুনাকের সভানেত্রী কানিজ অাহমারউজ্জামানও পিছিয়ে নেই। গত সোমবার রাতে তিনিও স্বামীর জনসেবার পথ ধরে লকডাউনে অভুক্ত মানুষদের অাহার জোটাতে বেরিয়ে পড়েন শহরে।

রাতে ষ্টেশন এলাকায় পথচারী অভুক্ত মানুষের অাহার জোটাতে রান্না করা খাবার নিয়ে হাজির হন। সত্যি এত অভুক্ত মানুষকে রেখে অামাদের সমাজপতিরা দিব্যি লকডাউনে পেট পুরে খেয়ে ঘাপটি মেরে থাকতে পারে চিন্তা করতেও কষ্ট লাগে।

মিসেস অাহমারউজ্জামান তার স্বামী পুলিশ সুপার অাহমারউজ্জামানকে নিয়ে ষ্টেশন চত্বরে অনাহারী মানুষের হাতে তুলে দেন রান্না করা খাবার।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, ওসি কোতোয়ালি ফিরোজ তালুকদার, টিঅাই সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ওসি ডিবি শাহ কামাল অাকন্দ, ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন, ওসি তদন্ত ডিবি ফারুক অাহমদ, ডিবির এসঅাই অানোয়ার, এসঅাই নিরুপম নাগ সহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্য পুলিশ সুপার অাহমারউজ্জামান ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিদিন ১০০/১৫০ পরিবারকে ১০ টাকায় দুদিনের খাবার বিলি করে চলেছেন। অার ১০ টাকা নেয়ার অর্থ হচ্ছে, দরিদ্র অসহায় মানুষজন যেন হিনমন্যতায় না ভোগে। যারা নিবেন তারা যেন মনে করেন তারা কিনে খাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *