পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের
স্টাফ রিপোর্টার: গত ১১ জুন থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছে ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিকরা। ইতিমধ্যে কর্মবিরতির ৩ দিন অতিবাহিত হলেও পোশাক শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না লোকাল গার্মেন্টস এর মালিকরা। এ প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন।
অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়কারী ও গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রেজা, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশের সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এএএম ফয়েজ হোসেন ও গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক বিপ্লব ভট্টাচার্য যৌথ বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
অধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে উল্লেখ করেন- লোকাল গার্মেন্টস এর শ্রমিকদের যে মজুরি প্রদান করা হয়, তা দিয়ে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে কোনভাবেই চলা সম্ভব নয়। ফলে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরির দাবি একান্ত যৌক্তিক। এছাড়া লোকাল গার্মেন্টস কারখানাগুলিতে নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানসহ কোন প্রকার শ্রম আইন কার্যকর করা হয় না। এ নিয়ে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে মালিকদের কাছে শ্রম আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আসছিলো। মালিকরা শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিতে কর্ণপাত না করায় শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়। এতে ঢাকার পোশাক প্রস্তুতকারী শিল্পে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে এ খাতের শ্রমিক-মালিক উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই মজুরি বৃদ্ধিসহ শ্রম আইন কার্যকর করার শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি অবিলম্বে মেনে নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসন করার আহবান জানান অধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।