শেরপুরের জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ১৭০ জনের নামে নাশকতার মামলা, গ্রেফতার ৯
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি : শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলসহ ১৭০জন নেতাকর্মীর নামে নাশকতার মামলা করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। এর মধ্যে ৫০জনের নাম ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। বাকীরা অজ্ঞাত। এ ঘটনায় শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিএনপির সভাপতি মাহম মাহমিদুল হক রুবেলকে মামলার এক নম্বর আসামি (হুকুমের আসামি) করা হয়েছে।
পুলিশের দাবী নাশকতার উদ্দেশ্যে রাত আটটার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা বৈঠক করছিল। আর তখন তাদেরকে আটক করা হয়।
তবে পরিবার ও বিএনপি বলছে পুলিশ সবাইকে বাড়ীবাড়ী গিয়ে গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃতদের আজ দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে রিমান্ড শুনানীর তারিখ রেখে সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।আটক নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন উপজেলার সিংগাবরুণা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সিংগাবরুনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক মুহাম্মদ শাহজাহান চাঁন, রাণীশিমুল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাত হোসেন আকন্দ, কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আনোয়ার ইসলাম রানা, একই ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইস্রাফিল হোসেন, তাঁতীহাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন মিয়া, খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনোহর আলী, একই ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য আমির হামজা, যুবদলের সদস্য রতন মিয়া।
গ্রেফতারের প্রতিবাদ করে মাহমুদুল হক রবেল বলেছেন, এখানে সকল নির্যাতনের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আন্দোলনের ভয়ে সরকারকে রক্ষা করতে পুলিশ আবারও গায়েবি মামলা দিয়ে আতংক সৃষ্ঠি করছে। এসব বানোয়াট মামলা হতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরে আসতে তিনি অনুরোধ জানান।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খানের দাবী অস্ত্রসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্থানীয় কাকিলাকুড়া মিশু মডেল একাডেমি মাঠে গোপন বৈঠক করছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে তাদের আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল, দেশীয় অস্ত্র লাঠি ২০ টি ও দা ৪টি উদ্ধার করা হয় । মামলা পর সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মাহমুদুল হক রুবেল এই মামলার একজন হুকুমের আসামি।