অন্যান্যজাতীয়

শেরপুরে চাঞ্চল্যকর সেনা সদস্য ওয়াসিম হত্যা মামলার দুই আসামী গ্রেপ্তার

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি : শেরপুর সদরে চাঞ্চল্যকর সেনা সদস্য ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজ পাড়ার ইব্রাহীম মন্ডলের ছেলে মোঃ সমেজ উদ্দিন (৬০) ও একই গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে নাজিম উদ্দীন (৩৫)।

১০ ডিসেম্বর ভোরে শেরপুর সদর উপজেলার সাজিপাড়া এলাকা থেকে সমেজ উদ্দিনকে এবং ৯ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার ঢাকেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড গোদনাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজিম উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

র‍্যাব ১৪ সিপিসি ১ এর মিডিয়া অফিসার ও সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হাই চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র‍্যাব জানায়, শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজ পাড়ার হাসান আলীর ছেলে ওয়াসিম আকরাম দীর্ঘ ছয় বছর ধরে সেনাবাহিনির একজন সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত ছয়মাস আগে শেরপুর শহরের বারাক পাড়ায় বিয়ে করেন তিনি। তিনদিন আগে সে ছুটিতে আসে। দুইদিন শ্বশুর বাড়িতে থেকে নিজ বাড়ি গিয়ে ২ডিসেম্বর সকালে তার বাবার সাথে ধান কাটতে যায়। ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চরশেরপুর হাইস্কুল মাঠে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধে জেরে তার চাচাতো ভাই, চাচা ও জেঠারা মিলে ওয়াসিমকে দা দিয়ে পিছন থেকে কোপিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় তার ছোটভাই জসিম উদ্দিন ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহন করে।
এরই অংশ হিসেবে র‍্যাব-১৪ শেরপুর সদর উপজেলার সাজিপাড়া এলাকায় ১০ ডিসেম্বর ভোরে অভিযান পরিচালনা করে সেনা সদস্য হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মোঃ সমেজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প এবং র‍্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর যৌথ আভিযান চালিয়ে ৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে সাতটার সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড গোদনাইন এলাকা থেকে মোঃ নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদেরকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। র‍্যাবের অভিযান অব্যহত থাকবে।