শেরপুরে ফায়ার সার্ভিসের ভূয়া অফিসার গ্রেপ্তার
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি : শেরপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মো. কামরুল হাসান (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৮ অক্টোবর বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত কামরুল নকলা উপজেলার চকজানকিপুর পাটাকাটা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কানাশাখোলা বাজার এলাকা থেকে সদর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পর শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা রোববার বিকেলে কানাশাখোলা বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ফায়ার সার্ভিসের ভুয়া পরিচয়দানকারী প্রতারকদের থেকে সাবধান থাকার জন্য পরামর্শ দেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে কামরুল হাসান সদর উপজেলার কানাশাখোলা বাজারে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স আয়াত ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড গ্যাস হাউসে যায়। এ সময় সে নিজেকে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. নাজমুলের কাছে ফায়ার লাইসেন্স দেখতে চায়। ম্যানেজার নাজমুল ফায়ার লাইসেন্সটি কামরুল হাসানকে দেখান। এ সময় কামরুল মূল ফায়ার লাইসেন্সটি হাতে নিয়ে এটি নবায়ন করে দেওয়ার কথা বলে নাজমুলের নিকট থেকে ৯০০ টাকা নগদ গ্রহণ করে।একইসাথে আরো চারশ টাকা যাতায়াতের জন্য দাবি করে। এসময় তাদের সন্দেহ হয়। কিছুক্ষণ পর আয়াত ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড গ্যাস হাউসের মালিক মো. আ. রহিম রনি তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসেন। এ সময় কামরুল হাসানের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আ. রহিম রনি শেরপুর জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালককে ফোন দেন এবং কামরুল নামে কোন কর্মকর্তাকে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে কি না জানতে চান। এ সময় কামরুল হাসান নামে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসে কোন কর্মকর্তা নেই বলে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক জানান।
তাৎক্ষণিকভাবে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে কানাশাখোলা বাজারের লোকজন ফায়ার সার্ভিসের ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী কামরুল হাসানকে আটক করেন। সংবাদ পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হাসান রোববার বিকেলে বলেন, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মো. আ. রহিম রনি গ্রেপ্তার কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার কামরুল প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।