অন্যান্য

শেরপুরে বজ্রপাতে নিহত-৪, আহত-৪ 

মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলায় বজ্রপাতে পৃথক পৃথক ভাবে নিহত ৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৪ ব্যক্তি। ১১আগষ্ট বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে উপজেলাব্যাপী বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাতকে উপেক্ষা করে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারী পাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাশেল(১৫) ট্রাকটর দ্বারা জমি চাষ করাবস্থায় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যেু হয়। অপরদিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে আরমান(১১) বাড়ীর পাশে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে।
জেলার নকলা উপজেলায় বজ্রপাতে আজিজুল হক (৩৬) নামে এক কৃষক নিহত, হুমায়ূন কবির ও বাবু নামে আরও দুই কৃষি শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাছাড়া শেরপুর সদর উপজেলায় মোস্তফা (৪০) নামে এক কৃষি শ্রমিক নিহত, বদু মিয়া ও আবু সাঈদ নামে আরও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।বুধবার ১১ আগস্ট  দুপুরের দিকে নকলা পৌরসভার লাভা গ্রামে এবং সদর উপজেলার লছমপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকায় এই ঘটনা দুটি ঘটে।
নকলায় নিহত আজিজুল হক পৌরসভার লাভা এলাকার মো. বদ্দি মিয়ার ছেলে এবং আহতরা হলেন একই এলাকার মুক্তার মিয়ার ছেলে হুমায়ূন কবির (৩০) ও আব্দুছ সালামের ছেলে বাবু মিয়া।
শেরপুরে নিহত মোস্তফা কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে এবং আহতরা হলেন ফজু মিয়ার ছেলে বদু মিয়া (৩৫) ও জোসনা মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩৪)।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে লাভা এলাকার লাভা মাঠে দুই শ্রমিক নিয়ে বাড়ির সামনে আমন ধানের চারা রোপন করার সময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে আজিজুল হক ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং দুইজন আহত হন।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে নিয়েগেলে জরুরি বিভাগে কর্মরত
চিকিৎসক আজিজুল হককে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের নকলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অন্যদিকে দুপুরে শেরপুর সদর  সদর উপজেলার লছমপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকায়
স্থানীয় কৃষক ভাসানীর কৃষি জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করার সময় বজ্রপাত ঘটলে মোস্তফা ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং বদু মিয়া ও আবু সাঈদ গুরুতর আহত
হন। আহতদের শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বজ্রপাতে একইদিনে ৪ ব্যক্তির নিহতের ঘটনায় জেলাব্যাপী আতঙ্ক বিরাজ করছে।

One thought on “শেরপুরে বজ্রপাতে নিহত-৪, আহত-৪ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *