শ্যামগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত ২২১ টি কম্বল নিলামে বিক্রয়
স্টাফ রিপোর্টার: শ্যামগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত ২২১ টি কম্বল নিলামে বিক্রয় হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১২ টায় মমনসিংহ রেলওয়ে থানায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সম্মুখে নিলামে ভ্যাট সহ ২,৯৮,৩৫০/- (২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৫০) টাকায় সেগুলো বিক্রয় করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম অফিসার ইনচার্জ রেলওয়ে থানা ময়মনসিংহ, এসআই অমিত হাসান সহ র্যাব-১৪ এর কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য গত ১৬ জুলাই ময়মনসিংহগামী জারিয়া লোকাল ট্রেনটি ০১.০০ ঘটিকার শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন লোক জারিয়া লোকাল ট্রেন বুকিংকৃত ১৫ (পনের) বস্তা কম্বল রামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্মে ট্রেন হইতে নামাইয়া ১৫ (পনের) বস্তা কম্বল হইতে ৭ বস্তা কম্বল নিয়ে যায়। শ্যামগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায় এবং শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে জিডি করে যার নং -১১৮, তাং-১৬/০৭/২০২৪ । পরে শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমে স্টেশন মাস্টারের রুমের সামনে ০৮টি প্লাস্টিকের বস্তায় প্রতি বস্তা ১৮টি করে কম্বল সর্বমোট-১৪৪টি কম্বল পরিত্যক্ত অবস্থায় সাক্ষীদের সামনে জব্দ করেন।
পরবর্তীতে একই দিনে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্মের শেষ মাথায় দুই বস্তাা কম্বল পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার খবর পায়। শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরের প্লাটফর্মের শেষ মাথায় ০১টি প্লাস্টিকের বস্তায় ২০টি কম্বল ও আরেকটি প্লাস্টিকের বস্তায় ১৬টি কম্বলসহ সর্বমোট ২০+১৬=৩৬টি কম্বল পরিত্যক্ত অবস্থায় শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির জিডি নং ১৩০, তাং-১৬/০৭/২০২৪খ্রিঃ সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ করা হয়। এর একদিন পর ১৮ জুলাই রেলওয়ে পুলিশ খবর পায় শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাঠের পশ্চিম কর্ণারে ০৪টি প্লাস্টিকের বস্তা (কম্বল) পড়ে আছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির জিডি নং-১৪২, তাং-১৮/০৭/২০২৪খ্রিঃ ১ম প্লাস্টিকের বস্তায় ০৯টি কম্বল, ২য় প্লাস্টিকের বস্তায় ১৩টি কম্বল, ৩য় প্লাস্টিকের বস্তায় ১৩টি কম্বল, ৪র্থ প্লাস্টিকের বস্তায় ০৯টি কম্বলসহ সর্ব মোট-০৯+১৩+১০+০৯= ৪১টি কম্বল পরিত্যক্ত অবস্থায় সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ করে। উল্লেখিত পরিত্যক্ত উদ্ধারকৃত কম্বলের বিষয়ে কোন অভিযোগ ও মালিকানা পাওয়া না যাওয়ায় তা নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, কারফিউ জারি ইত্যাদির কারণে চোরাকারবারিরা পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।