উপ-সম্পাদকীয়

সাংবাদিক আতাউস সামাদকে যেমন দেখেছি-আমিনুল হক সাদী

সাংবাদিকতা জগতের এক নক্ষত্র’ বিবিসি খ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ চিরবিদায় নিলেও তার আদর্শ ও নিষ্ঠা আমাদের অনুকরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল। আজ আতাউস সামাদের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ইন্নাল্লিাহি…রাজিউন। ১৯৩৭ সালের ১৬ নভেম্বর ময়মনসিংহ শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের সতেরদরিয়ায়। এ গ্রামে কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। খ্যাতিমান এ সাংবাদিকের সাথে পুরো একদিন সময় দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেই একটাদিন যেনো হাজার দিনের মতো মনে হয়েছিলো। একটা দিনেই অপরিজনের সাথে পরিচয়ে সান্নিধ্য পাওয়া আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো। এই বরেণ্য সাংবাদিকের কাছ থেকে সাংবাদিকতার যে দীক্ষা পেয়েছিলাম তা পরবর্তী জীবনে সহায়ক হয়েছিলো। মনে পড়ে ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল করিমগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে উপজেলা পিডিয়া প্রণয়ন কল্পে ইতিহাস সম্মেলনে সেদিন অনেকটা সময় কেটে ছিল এই বরেণ্য সাংবাদিকের সান্নিধ্যে। বস্তÍÍনিষ্ঠ সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা এবং ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিশেষ কৌশল হাতে নাতে শিখিয়েছিলেন। সে হিসেবে বলা যায় আমার সাংবাদিকতার একজন শিক্ষকও তিনি। তিনি ২৫ বছর ঢাবিতে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে ক্লাস নিয়ে অসংখ্য সাংবাদিক তৈরী করেছেন। তাঁর সে ক্লাসে সরাসরি উপস্থিত থাকার সুযোগ না হলেও সেদিনটাতে পেয়েছিলাম। কী তেজস্বী কন্ঠ, স্পষ্ট উচ্চারণ, সাহসী সাংবাদিকের অমায়িক ব্যবহারে অবাক হয়েছিলাম। যে যত বড় তার পান্ডিত্য ও ব্যবহারও অনেক বড়। বহু ভাষাবিদ গুণী এই সাংবাদিকের সাথে সময় কাটানোর ওই দিনটাকে আজও ভোলতে পারিনি। সেই ঐতিহাসিক ইতিহাস সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য করিমগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল হাবীব রেজা ভাইয়ের নিমন্ত্রণে আমি ও বন্ধুবর সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদসহ অন্যন্য সাংবাদিকদের নিয়ে সেই সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। সম্মেলনে তিনি তাঁর ঐতিহাসিক বক্তব্যে বলেছিলেন, “তৃণমূল পর্যায়ে ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণের লক্ষে আমার এলাকার করিমগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি উপজেলা পিডিয়া প্রণয়ন করতে যাচ্ছে তা খুবই আশার কথা। বাংলাদেশের তৃণমূল ইতিহাস প্রণয়নে এ সংগঠনটির উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এই করিমগঞ্জেই হলো বাংলার বার ভুঞাদের অন্যতম একজন বীর ঈশা খাঁর স্মৃতিধন্য উপজেলা”।

করিমগঞ্জ উপজেলার সতেরদরিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান আতাউস সামাদসহ জাতীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতি দেশের গুনী ও বরেণ্য ব্যক্তিদের একত্রিতকরণ একটি বহুল আলোচিত সম্মেলন বাস্তবায়িত হয়েছিলো বীর ঈশা খাঁর অধস্তন বীর করিম খাঁর স্মৃতি জড়িত করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মুক্ত আঙ্গিণায়। ইতিহাসের সে তৃণমূল সম্মেলনে আমিও অংশ গ্রহণ করে ইতিহাস লিখনীতে আরও আগ্রহবোধ করেছিলাম। এই উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের এখানকার জংগলবাড়ীই ছিল বৃহত্তর ভাটি বাংলার রাজধানী। বীর ঈশা খাঁ দিল্লীর মসনদে আরোহী মুঘলদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে লড়েছিলেন এবং রাজা মানসিংহকে পরাজিত করেছিলেন। এই ঐতিহাসিক জনপদে যেহেতু ‘আমার বাড়ী তাই আমি আশা করি আমার নিজ গ্রাম ঐতিহাসিক সতেরদারিয়াদের স্মৃতি বিজড়িত গ্রামের ইতিহাস নিয়েই এ গ্রন্থের যাত্রা শুরু হোক।
সে ইতিহাস সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান ফোকলোর সংগ্রাহক ড. আশরাফ সিদ্দীকী, ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক সাহিত্যিক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পুরোধা এতদাঞ্চলের কৃতি সন্তান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠের সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ, সাপ্তাহিক আলোর মেলা সম্পাদক মো: খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত,করিমগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল হাবীব রেজা, শিল্পী আবুল হাসেম ও শিল্পী সৈয়দ নুরুল আওয়াল তারামিঞাসহ অন্যন্য অতিথিবৃন্দ।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সেই পিডিয়া আর তিনি দেখে যেতে পারেননি। ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। আর সেই সাথে সাংবাদিকতা জগতের এক নক্ষত্র নিলেন চিরবিদায়। তিনি বিদায় নিলেও উনার আদর্শ ও প্রেরণা আজও আমাদের মাঝে আছে বলে লিখি, খাঁটি ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটি। জঙ্গলবাড়ির জৌলুস ফেরাতে উদ্দীপ্ত হয়ে অবৈধ দখলদারিত্বের বিষয়ে কলম ধরি। হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার চেয়ে মুক্তমনায় ফিকির করি। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গোটা বাংলাদেশ যখন স্বৈরাচারের একটি আতংকে ছিল তখন বিবিসি থেকে রাষ্ট্রের কথা উঠে আসতো বীর সাংবাদিক আতাউস সামাদের কণ্ঠে। মিডিয়ার সংখ্যা কম থাকায় তখন মানুষ দেশের খবরা-খবর জানতে রেডিওতে কান পেতে থাকতো। প্রথিতযশা এই সাংবাদিকের তেজস্বী কণ্ঠ এখনো যেন কানে বাজে অনেকের। তিনি অবজারভারে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য, পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের নিপীড়নের খবরও তৈরী করতেন। বিবিসিতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের খবর পাঠানোর অপরাধে তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

তার পিতা আবদুস সামাদ ছিলেন তৎকালীন এডিপিও ও মাতা সায়েরা বানু সুগৃহিনী। আতাউস সামাদের ভাই আতিকুস সামাদ বিবিসির সাংবাদিক হিসেবে লন্ডনে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রী কামরুন্নাহার রেনু দীর্ঘদিন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-এ কর্মরত ছিলেন। তিনি এক ছেলে আশেকুস সামাদ ও দুই মেয়ে নাঈমা সামাদ ও সামিয়া সামাদের জনক। আতাউস সামাদ তার কর্মবহুল সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন ১৯৫৬ সালে সচিত্র সন্ধানীতে। ১৯৫৯ সালে তিনি দৈনিক আজাদ পত্রিকায় সাব-এডিটর হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকায় যোগ দেন এবং ১৯৬৯ প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে নিয়োগ পান। তাঁর দায়িত্বশীলতার কর্মে তাঁকে সাংবাদিক জগতের উজ্জল শিকড়ে নিয়ে যায়। সাংবাদিকতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষ্ঠার সাথে খন্ডকালীন শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। সত্তর দশকে দ্য সান পত্রিকার সাংবাদিকতার গুরু দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বাসসে কর্মরত ছিলেন। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নিউজ-এর সংবাদদাতা বাংলাদেশস্থ (১৯৮২-৯৪), নয়াদিল্লিতে বাসস-এর বিশেষ সংবাদদাতা (১৯৭২-৭৬), পাকিস্তান অবজার্ভার (অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ অবজার্ভার) পত্রিকার চিফ রিপোর্টার (১৯৬৫-৬৯), পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন (ইপিইউজে, ১৯৬৯, ১৯৭০) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০০৪ সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় যোগ দেন এবং পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন। এছাড়াও এনটিভির প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নিজের সম্পাদনায় বের করেন পাক্ষিক জাতীয় পত্রিকা এখন। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ ১৯৯২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছ থেকে একুশে পদকে ভূষিত হন। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পুরস্কার গ্রহণ করেন। এছাড়া বাংলা একাডেমীর ফেলোশীপ,বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুব উল্লাহ কল্যাণ ট্্রাস্ট পুরস্কার, মহাকাল সৃষ্টি চিন্তা সংঘ কর্তৃক ভাষা শহীদ গোল্ড মেডেল,জাগৃতি চলচ্চিত্র পরিষদ কর্তৃক শিল্পী কামরুল হাসান স্মৃতি পদক,ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা রিপোটার্স পদকে ভূষিত হন।

সাংবাদিক আতাউস সামাদের নামটি আমার সামনে আসলেই তাঁর সেই কথাগুলো আজও কানে বাজে। ২০০৪ সালের ইতিহাস সম্মেলনে বিবিসি খ্যাত দেশ বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদ যে কথাগুলো বলেছিলেন তাই ফিরে আসে স্মৃতিপটে বার বার। সম্মেলনের আয়োজক ও এতে অংশ গ্রহণকারী ইতিহাসবিদগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, “আপনারা আমার জন্মভূমি করিমগঞ্জ উপজেলার কাদির জঙ্গল ইউনিয়নের সতেরদরিয়া গ্রামটির ইতিহাস লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে কাজটি শুরু করতে পারেন”। সে কথাটি আমার মনে খুবই রেখাপাত করেছিলো। তাই সে বিষয়ে ওই সম্মেলন থেকে ফিরেই তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছিলাম। একাধিকবার সতেররদরিয়া গ্রামে ছুটে গিয়েছিলাম। সেখানকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ও পুরনো মুরুব্বীদের সাথে কথা বলি। এতদ্বিষয়ে ২০১০ সালে আমার সম্পাদিত নিজ ইউনিয়নের আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ “মহিনন্দের ইতিকথা” বইয়ে সতেরদরিয়ার নাম করণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উপস্থাপন করলে প্রশংসিত হই। বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখে ও মূল্যায়নের দৃষ্টিতে সতেরদরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী আমাকে ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর সে গ্রামের আরেক কৃতি সন্তান আতাউস সামাদের ভাতিজা লে: শহীদ আশফাকুস সামাদ বীর উত্তমের ৪৭ তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে ১৭ গুনী সম্মাননা অনুষ্ঠানে আমাকেও সম্মাননা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন। সে সম্মেলনটির আয়োজনে মূল উদ্যেক্তা ছিলেন সতেরদরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শ্রদ্ধেয় মো: রেজাউল হাবীব রেজা ভাই। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সেসময়ের এডিএম বর্তমানে উপসচিব মো.আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: বাশির উদ্দিন ফারুকী, করিমগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী অফিসার শারমীন আক্তারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সাংবাদিক আতাউস সামাদের কথা স্মরণ হলেই আরেকজন বিবিসির সাংবাদিক আমাদের মহিনন্দ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান কাদের মাহমুদের কথা স্মরণে এসে যায়। কারণ আতাউস সামাদ সাহেব বিবিসির বাংলাদেশ সংবাদদাতা ছিলেন আর কাদের মাহমুদ সাহেব ছিলেন বিবিসি বাংলার অনুষ্ঠান সহকারী প্রযোজক। বাস্তবিক জীবনের সাথে দুজনের ইন্তেকালের সময়েও মাসের একটা মিল দেখতে পাই। আতাউস সামাদ মারা যান ২৬ সেপ্টেম্বর। আর কাদের মাহমুদ মারা যান ৬ সেপ্টেম্বর, দাফন হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। দুজনের কর্মক্ষেত্র একই প্রতিষ্ঠান আর ইন্তেকালের সময়েও একই মাসের বিষয়টি একটি সুন্দর বন্ধনেরও সাজুহ্য বহন করে। বরেণ্য এই দুজন বিবিসির সাংবাদিকের সাথে সরাসরি সাংবাদিকতার দীক্ষা ও লেখনীর কলাকৌশল আয়ত্ত করতে পেরেছিলাম। কিছুটা সময় দুজনের সান্নিধ্যেই কাটিয়েছিলাম। যা আমার জন্য একটি গর্বের একটি অহংকারের বটে।

আজ বিখ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্মরণে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার আয়োজনে সন্ধ্যায় আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। সংস্থার জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক শফিক কবীর জানালেন বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের স্মরণসভার পাশাপাশি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজীর ইন্তেকালেও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এখানেও একটা বিষয় ফুটে ওঠে সাংবাদিক আতাউস সামাদ যখন মারা গিয়েছিলেন সেই সময়ে রুহুল আমীন গাজী ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি। তিনি আতাউস সামাদ সাহেবের কফিনে সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেছিলেন। রুহুল আমীন গাজী ভাইও গতকাল ইন্তেকাল করেন। যে কারণে আজকের আলোচনা ও দোয়ার আয়োজনটি দুজনের স্মরণেই হচ্ছে জেনে আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা এই প্রয়াত সাংবাদিকদের বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, হে আল্লাহ মরহুমদেরকে বেহেস্ত নসীব করুন,আমিন।

আমিনুল হক সাদী, সাংবাদিক ও লেখক, কিশোরগঞ্জ।