সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম-এঁর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে নেত্রকোণায় জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কর্মসূচি
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট নেত্রকোণা জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জাতীয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম এঁর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। গত ২০১৯ সালের ১২ জুন ৪৫ বছর বয়সে তিনি অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট নেত্রকোণা জেলার উদ্যোগে আগামি ১৫ জুন বিকাল ৪ টায় আলোচনা সভার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে সংক্ষিপ্ত আকারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের জেলা কার্যালয় কমিশনার রোড, কাটলীতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এনডিএফ’র জেলা আহবায়ক মাস্টার মতিউর রহমান আলোচনা সভা সফল করার জন্য সংগঠনের সকল নেতা-কর্মিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানান।
উল্লেখ্য যে, শফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৯৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট পড়াকালীন সময়ে তিনি প্রগতিশালী ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত হোন। সাংগঠনিক দক্ষতায় অল্প সময়ের মধ্যে বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও নেত্রকোণা অঞ্চলে জাতীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক কাজ ও যোগাযোগ গড়ে তুলেন। এ সময় তিনি বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশায় বেশকিছু পাঠচক্র গড়ে তোলেন। ছাত্র রাজনীতি করার সময়ই তিনি প্রগতিশীল ধারার পত্রিকা সাপ্তাহিক সেবায় লেখালেখি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি আজকের কাগজ ও যায় যায় দিন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। মাঝখানে বেশ কয়েক বছর তিনি পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কর্মব্যস্ততায় সাংগঠনিক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ২০০১ সালে আবার নতুন করে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করার মাধমে ২০১২ সালে জাতীয় গনতান্ত্রিক ফ্রন্ট এর নেত্রকোণায় জেলা আহবায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে জেলা এনডিএফ’র দায়ীত্ব পালন করেন। এ সময়ে হাওরাঞ্চলে কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়ীত্ব পালন করেন । বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির নেতৃত্বে ভাসান পানির আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সুনেত্র গ্যাসফিল্ড অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর মৃত্যুর বৎসর খানেক আগে থেকে চিকিৎসার প্রয়োজনে ময়মনসিংহে অবস্থান করেন। এ সময়ে তিনি ময়মনসিংহে এনডিএফ ও ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের বিভিন্ন ইউনিটে দায়ীত্বশীল ভুমিকা রাখেন। ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নে তিনি শ্রমিকদের শিক্ষা প্রশিক্ষণে ভূমিকা রাখেন। এ সময় তিনি শ্রমিক রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক কর্মি হওয়ার ইচ্ছা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে এবং পায়ের ইনফেকশনে ভুগতে থাকায় ধীরে ধীরে তিনি অসুস্থ হতে থাকেন। ফলে তাঁর ইচ্ছার প্রতিফলন করে যেতে পারেন নি। সর্বশেষ ইনফেকশনের জন্য পায়ের এক আংগুল কেটে ফেলতে হয় । অবস্থা গুরুতর হলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও মা-বাবা সহ এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং অসখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)