সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আপোসহীন জননেতা ডা. এম এ করিমের সমাধীতে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধার্পণ
স্টাফ নিউজ: জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সাপ্তাহিক সেবা’র সম্পাদক ডা. এম এ করিমের ৩য় মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষ্যে আজ ( ৪ নভেম্বর) বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে প্রয়াতের সমাধীতে সকাল ৮ টায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধার্পণ করেন। এ সময় জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ, জাতীয় ছাত্রদল, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘসহ পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এসব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সমাধীতে পুস্পার্পণ শেষে প্রয়াত ডা. এম এ করিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট শোক নিরবতা পালন করেন। শোক নিরবতা পালনের কর্মসূচি পরিচালনা করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ( এনডিএফ)’র সভাপতি ডা. এম জাহাঙ্গীর হোসেন। পরবর্তীতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এম এ করিমের জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শপথ বাক্য পাঠ করেন। শপথবাক্য পাঠ করান এনডিএফ’র সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম।
উল্লেখ্য যে, ডা. এমএ করিম ছিলেন এক জীবন্ত ইতিহাসের অগ্রসেনা ও ইতিহাসের কালপঞ্জী। প্রায় ৮ দশক জুড়ে রয়েছে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সুদূর প্রসারী কর্মতৎপরতা ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি মওলানা ভাসানীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। এদেশের কমিউনিস্ট বিপ্লবীনেতা কমরেড আবদুল হক এর সাথে ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট আয়োজিত টিপাইমুখ বাঁধ বিরোধী আন্দোলনসহ সুনামগঞ্জ জেলার সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্র ইজারা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন। এছাড়াও কৃষক আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলনসহ ব্রিটিশ থেকে বাংলাদেশ আমল পর্যন্ত অসংখ্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্ব প্রদান করেন।