জাতীয়

সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ২ জন গ্রেফতার

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার চাঞ্চল্যকর মোজাহিদ ইসলাম সোহান হত্যা মামলার এফআইআরভুক্ত ১নং আসামী দিদার আলী (২৭)সহ ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪, সিসিএসসি,ময়মনসিংহ। ০৯ নভেম্বর ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানাধীন মুন্সিরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আসামীরা হচ্ছে এফআইআর ভুক্ত ১নং আসামী দিদার আলী (২৭), পিতা-মৃত ইমান উদ্দিন, ২নং আসামী জাহিদ (২১), পিতা-মফিজ উদ্দিন, ৩নং আসামী বাবলু মিয়া (২৪), পিতা- মৃত সাহাব উদ্দিন, সর্ব সাং-লতিবপুর, থানা-নবীগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ।

র‌্যাব সূত্র জানায়, নিহত মোজাহিদ ইসলাম সোহান একজন সৌদি প্রবাসী। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে মোজাহিদ ইসলাম সোহান দেশে আসার পর আসামীদের মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনে প্রতিবাদ করার কারণে আসামীদের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন ২৮ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. তারিখ সন্ধা অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকায় আসামীগণ নিহত মোজাহিদ ইসলাম সোহান‘কে ইনাতগঞ্জ পূর্ব বাজারে দেখতে পেয়ে আসামীগণ অতর্কিত আক্রমণ করে। তখন নিহত মোজাহিদ ইসলাম সোহান প্রাণ রক্ষার্থে দৌড়ে পালোনোর সময় জনৈক আজিম উদ্দিন‘র দোকানের সামনে পৌছামাত্র আসামীগণ তার মাথায়, বুকে, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিঠ করতঃ গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় নিহতের পিতা বাদী সিরাজ উদ্দিন (৫০) সহ অন্যান্য জখমী সাক্ষী মোসাদ্দিক আলম, রিয়াদ ইসলাম তামিম এবং শহিদুল ইসলামগণ এগিয়ে আসলে আসামীগণ তাদেরকেও মারপিঠ করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে, স্থানীয় লোকজন এবং বাদীর আত্মীয় স্বজন এগিয়ে এসে নিহত মোজাহিদ ইসলাম সোহান এবং বাদীসহ অন্যান্য জখমীদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পথিমধ্যে মোজাহিদ ইসলাম সোহান মৃত্যুবরণ করেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পৌঁছালে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাহিদ ইসলাম সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অন্যান্য জখমীদের ভর্তি করায়ে চিকিৎসা প্রদান করেন। উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে নিহতের পিতা সিরাজ উদ্দিন (৫০), পিতা-মৃত ফুলমান উদ্দিন, সাং-বাউর কাপন, থানা-নবীগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০২, তারিখঃ ০২ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড রুজু করেন। উক্ত ঘটনার পর র‌্যাব-৯, সিলেট, সিপিসি-৩ ছায়া তদন্ত অব্যাহত রেখে আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৯, সিলেট, সিপিসি-৩ কার্যক্রম শুরু করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানায় সূত্রোক্ত মামলা মোতাবেক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি