অন্যান্যজাতীয়শিক্ষা ও সংস্কৃতি

স্কুল মাঠে রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী রাখায় শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ

নান্দাইল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৪নং চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠে রাস্তার উন্নয়ন কাজের নির্মাণ সামগ্রী রেখেছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলফেরায় দূর্ভোগের যেন শেষ নেই। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের মাঠে স্বাছন্দে ঘুরতে পারছেনা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরুনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিনা বেগমের অনুমতি ছাড়াই এক মাস যাবত রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী উক্ত মাঠে রেখে দিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাপ্পী এন্টারপ্রাইজ। প্রায় একমাস আগে এলজিইডি’র অর্থায়নে বরুনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চন্ডিপাশা ইউনিয়নের শেষ মোড় পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। উক্ত রাস্তার নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ রয়েছে ৬৫ লাখ টাকা। কিন্তু স্কুল মাঠে রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী রেখে যেমন শিক্ষার্থীদের চলাফেরাকে বিঘ্নিত করছে, ঠিক তেমনি রাস্তার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী। ফলে দুইয়ে মিলিয়ে অত্র ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। উক্ত রাস্তার কাজে নির্মাণ সামগ্রীগুলো যখন স্কুল মাঠে রাখছে, তখনই এলাকাবাসী নিম্মমানের সামগ্রী দেখে প্রতিবাদ করে। এমনকি স্কুল মাঠে সামগ্রী রাখার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার কোন ধরনের তোয়াক্কা করেনি।

এ বিষয়ে সহকারী ঠিকাদার আলম মিয়া বলেন, ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পেয়েছে বাপ্পী এন্টারপ্রাইজ, তার কাছ থেকে আমি কাজটি নিয়েছি। আমরা কিছু দিনের মধ্যেই এগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিবো।

নির্মাণসামগ্রী নিম্নমানের বিষয়ে প্রশ্ন করলে আলম মিয়া বলেন, এগুলো তো ইঞ্জিনিয়ার দেখবে। এটা আপনাদের দেখার কিছু নেই।

বরুনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিক রিনা বেগম বলেন, রোযার মাসে স্কুল বন্ধ ছিল, ২৬শে মার্চ স্কুলে এসে দেখি স্কুল মাঠে নির্মাণ সামগ্রী। এখন স্কুল খোলা, বাচ্চারা বের হতে পারছেনা। এছাড়া তারা কোন অনুমতি নেয়নি।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মালেক বিশ্বাস বলেন, আমি ঠিকাদারকে বলে দিয়েছি, স্কুল মাঠে নির্মাণ সামগ্রীগুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে, পাশাপাশি নিম্নমানের সামগ্রী বদলে নতুন ভালোমানের সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য। এছাড়া রাস্তাটি সরজমিন পরির্দশনে কোন অনিয়ম পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।