অন্যান্যজাতীয়

হত্যা মামলার দুই আসামীকে চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়ায় ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের নান্দাইলে নিরীহ আব্দুল হেলিম (৬৫) কে পিটিয়ে হত্যাকান্ডের মামলায় দুই আসামীকে চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে।
সোমবার(২৯ জুলাই) ময়মনসিংহ জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯নং আমলী আদালতে বাদী আবু বক্কর ছিদ্দিক শাহীন চার্জশীটের বিরুদ্ধে নারাজি দেন। এতে আদালত নারাজি গ্রহণ করে

মামলাটি পুনঃতদন্ত শুরু করতে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)কে তদন্তের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার আইনজীবী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান সাদেক।
এর আগে গত ১০ জুলাই বাদী আবু বক্কর ছিদ্দিক শাহীন নান্দাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হেলিম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে দুই ও তিন নং আসামীর নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ করেন। সেই সাথে হত্যা মামলার আসামীদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না বলেও জানান বাদী।

জানা গেছে- গত বছরের ৮ ডিসেম্বর উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের মধ্য ঝাঁউগড়া গ্রামের আব্দুল হেলিম (৬৫) কে নরসুন্দা নদীর পাড়ে বীজতলায় একা পেয়ে প্রতিবেশী সুলতান মিয়ার পুত্র বুলবুল মিয়া (৩৫) পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক শাহীন বাদী হয়ে মৃত সুলতান মিয়ার পুত্র বুলবুল মিয়া (৩৫),হাদিস মিয়া (৪৭), আলম মিয়া (২২) তিন জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার হলেও অন্যরা যামিনে রয়েছে।

এদিকে গত মাসের ২৯ জুন আব্দুল হেলিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামী বুলবুল মিয়াকে অভিযুক্ত করে অন্য দুজন আসামীকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল কাদের।

মামলার বাদী আবু বক্কর ছিদ্দিক শাহীন বলেন- আমাকে না জানিয়ে এসআই অন্যায়ভাবে আমার বাবার হত্যা মামলার দুই আসামীকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে চার্জশিট দিয়েছিল। আদালতে নারাজি দিয়েছি এখন আদালত ডিবি কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এতে করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অন্য আসামীদের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে। আমরা আসামীদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারি না।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদের মুঠোফোনে বলেন- আমি তদন্ত করে চার্জশিট দিয়েছি। বাদী আদালতে নারাজি দিয়েছে আদালত অন্য কাউকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে যদি খুনের সাথে অন্যদের সম্পৃক্ততা পায় তাহলে তাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হবে। এতে আমার কিছু করার থাকবে না।