হালুয়াঘাটে ঐতিহাসিক “তেলিখালি যুদ্ধ দিবস” পালিত
মোঃ বাবুল হোসেন : আজ ৩ নভেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ‘তেলিখালি যুদ্ধ দিবস’ পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩ নভেম্বর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, তেলিখালী যুদ্ধে বীর শহীদদের সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তৌহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম বেগ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ কামরুল হুদা, একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান এম সুরুজ মিয়া, অফিসার ইনচার্জ শাহিনুজ্জামান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহীদ পরিবারের সদস্য বৃন্দ।
১৯৭১ সালের ৩ নভেম্বর হালুয়াঘাটের তেলিখালী ক্যাম্প পাকিস্তানি সেনাদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে ভারতীয় মিত্র-বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা এক সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে ১২৪ জন পাকিস্তানি সেনা ও তাদের শতাধিক সহযোগী রাজাকার আল-বদরসহ ২৩৪ জনকে নিহত করে মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ-বাহিনী।
এসময় শহীদ হন মিত্র-বাহিনীর ২১ জন জওয়ান ও সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তালিকাভুক্ত সাত শহীদরা হচ্ছেন, জামালপুরের সরিষাবাড়ির শওকত আলী, ময়মনসিংহের ফুলপুরের হযরত আলী, হালুয়াঘাটের আক্তার হোসেন, ময়মনসিংহ সদরের আলাউদ্দিন, শাহজাহান, শ্রী রঞ্জিত গুপ্ত এবং সিপাহী ওয়াজিউল্লাহ। এই বীর শহীদদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতি-ফলক। ক্যাম্পের পেছনে শনাক্ত করা হয়েছে সাত শহীদের গণ-কবর।
ময়মনসিংহ সীমান্তে এটি ছিল প্রথম বিজয়। এরপর থেকেই ৩ নভেম্বর ‘ঐতিহাসিক তেলিখালী যুদ্ধ দিবসকে’ সামনে রেখে প্রতি বছর এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।
buy priligy Qin Ming explained that, for fear of Zhao