৩০ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণার দাবিতে হোটেল শ্রমিক ফেডারেশনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হোটেল সেক্টরে ৩০ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে রাজধানীতে হাজার হাজার হোটেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে গত ১৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রথমে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে হাজার হাজার শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে সমাপ্তি করে। শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান খান এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেনসহ বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের যুগ্ম সম্পাদক প্রকাশ দত্ত ও বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, হোটেল সেক্টরে সর্বশেষ ২০১৭ সালে মজুরি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত নতুন মজুরি ঘোষণা করা হয় নি। ইতিমধ্যে মজুরি বোর্ড গঠিত হয়ে মজুরি নির্ধারণের প্রক্রিয়া চললেও বাজারদরের সাথে সঙ্গতিরেখে মজুরি নির্ধারণ না করার জন্য হোটেল মালিকরা বিভিন্ন পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ৬ সদস্যের একটি শ্রমিক পরিবার চলার জন্য ৪০/৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন। কিন্তু হোটেল ও রেস্তোরা শিল্পে বিভিন্ন মানের ও সামর্থ্যের প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ফেডারেশন থেকে ৩০ হাজার টাকা মজুরি দাবি করা হয়েছে। নি¤œতম মজুরিবোর্ডসহ হোটেল মালিক সমিতি ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ফেডারেশনের পক্ষ হতে এ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- এ মজুরি দিয়ে একটি শ্রমিক পরিবার খেয়ে না খেয়ে কোনরকমে জীবন ধারণ করতে পারে। অথচ এইটুকু মজুরি নির্ধারণ না হওয়ার জন্য মালিকরা বিভিন্ন পাঁয়তারা চালাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নভেম্বর মাসেই ১৩.৮০ শতাংশ বৃদ্ধি হওয়ার রেকর্ড হয়েছে। তাই হোটেল সেক্টরে ঘোষিত মজুরির সাথে বার্ষিক মজুরি অন্তত ১৫% নির্ধারণ করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। ৩০ হাজার টাকার নিচে মজুরি ঘোষণা হলে, এর পরিণতিতে হোটেল সেক্টরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে এর সমস্ত দায় মালিক ও সরকারকে বহন করতে হবে বলে নেতৃবৃন্দ সমাবেশে সতর্ক করেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)