এআরডিএল এবং ডাটা এনভেলপ এনালাইসিস উভয়ই উদ্যোক্তাদের দক্ষতার সাথে টেকসই ব্যবসা-অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী
ইভিউস (EVIEWS) সফটওয়্যারের ব্যবহারের মাধ্যমে এআরডিএল এবং এনভেলপ এনালাইসিসের ওপর ৮ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ করলো ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকসের উদ্যোক্তা অর্থনীতিবিদ ক্লাব। এটি ৫ই আগস্ট শুরু হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অটোরিগ্রেসিভ ডিস্ট্রিবিউটেড ল্যাগ (এআরডিএল) মডেল একক-সমীকরণ কাঠামোতে টাইম সিরিজ ডেটার সাথে গতিশীল সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয় যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আর্থিক ডেটা বিশ্লেষণের জন্য সহায়ক। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আয় ও সম্পদের বৈষম্য হ্রাস এবং ইক্যুইটির সঙ্গে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্জনে সরকারি এবং বেসরকারি খাতকে একসাথে কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় অসি্থরতা রয়েছে। দক্ষতা অর্জনে ডেটা এনভেলপমেন্ট বিশ্লেষণ কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্নাতক থেকে মাস্টার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রাম মানব পুঁজির উন্নয়ন এবং স্ব-কর্মসংস্থানে সহায়তা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে৷
প্রশিক্ষনে ভারতের অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি উত্তর প্রদেশের প্রফেসর ড. দীপ্তি রঞ্জন মহাপাত্র প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন৷ প্রশিক্ষনকালে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে বাস্তব জীবনে এআরডিএল এবং ডাটা এনভেলপ এনালাইসিস ব্যবহার করা যায় এবং ইভিউস সফ্টওয়্যার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে দক্ষতা ও কার্যকারিতা তৈরি করা যায়৷
কর্মসূচীতে ভারতের উত্তর প্রদেশের অ্যামিটি ইউনিভার্সিটির ডিন (অ্যাকাডেমিক্স) এবং ডিরেক্টর (অ্যামিটি কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড ফিনান্স) ডা. সুজাতা খন্দাই প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, অর্থনীতির উন্নতির পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতিতে ভোক্তা আচরণের জন্য নৈতিক মূল্যবোধের সাথে সঠিক গবেষণা প্রয়োজন।
ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকসের উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী জানান, এআরডিএল এবং ডাটা এনভেলপ এনালাইসিস উভয়ই উদ্যোক্তাদের দক্ষতার সাথে টেকসই ব্যবসা করার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে জ্ঞানের বিস্তার বজায় রাখা প্রয়োজন ফলাফল ভিত্তিক শিক্ষার সাথে জ্ঞানের ভাল গতি কারণ এটি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের দক্ষতাকে সহায়তা করে।
ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকসের সহকারী অধ্যাপক সারা তাসনিম এবং রেহানা পারভিন উভয়েই যুক্তি দিয়েছিলেন যে, শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা দিতে উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ডেটা সেন্টার এবং অর্থনৈতিক ইনকিউবেটর প্রয়োজন। অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকসের প্রভাষক শামিম আহমেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। দেশের ছাত্রছাত্রী ও উদ্যোক্তাদের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এই কার্যক্রমটির আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি