অন্যান্য

শেরপুরে কলেজ ছাত্রী জিদনী মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবিতে মানব বন্ধন

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপু‌রের না‌লিতাবাড়ীর শিক্ষার্থী তায়েবাতুন জিদনী (২৫) মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবী‌তে মানববন্ধন কর্মসূ‌চি পালন করা হ‌য়ে‌ছে।

১২ জুন সোমবার দুপুরে সেঁজুতি সাংস্কৃতি একাডেমি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে উপ‌জেলা প‌রিষ‌দের সাম‌নের সড়‌কে ঘন্টাব‌্যা‌পি এই মানববন্ধন করা হয়।

তা‌য়েবাতুন জিদ‌নি ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজে সমাজ কর্ম বিভাগে ৪র্থ বর্ষে শিক্ষার্থী ছি‌লো। সে ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি মসজিদ রোড এলাকার নাসা টাওয়ারের হোষ্টেলে থে‌কে পড়ালেখা কর‌তেন। সেখানেই ৬জুন রাতে রহস্য জনকভাবে মৃত্যু হয় তার।
সে নালিতাবাড়ি পৌরশহ‌রের শি‌ক্ষিকা হাসনা হেনা ও জয়নাল আ‌বে‌দি‌নের সন্তান।

জিদনির স্বামী ইয়াসির আরাফাত চার মাস যাবত ফ্রান্সে বসবাস কর‌ছেন।

এরইমধ্যে গত ৭ জুন সকালে ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি এলাকার নাসা টাওয়ারের হোষ্টেল থেকে জিদনির মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ থানা পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা ব‌লে ধারণা কর‌ছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। তবে এ মৃত্যুর আলামত হিসেবে পুলিশের কাছে জিদনির ব্যবহৃত মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রুমের ভিতরে জিদনিকে জানালার পাশে খাটের উপরে হাটু পেছন দিকে ভাঁজ করা বসা অবস্থা পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে। জানালার গ্রিলের সাথে একটি ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচানো ছিল । প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্ত জানালার গ্রিলের সাথে কি ভাবে আত্মহত্যা করা যায়। এটা রহস্যজনক হত্যা। যদি আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে এর পেছনে অব্যশই কারো প্ররচনা রয়েছে। জিদনি আত্মহত্যা করেনি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। এর পেছনে কে দায়ি তা বের করে আনতে হবে।

এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নবরুপী ক্রিড়া সাংস্কৃতিক গোষ্টির সভাপতি শ্যামল দত্ত, তারাগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম,সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান , নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবে সভাপতি আবদুল মান্নান, সহ সভাপতি মাহফুজুর রহমান,আতিকুর রহমান,অবনী অনিমেষ,জিদনির শ্বশুড় আবুল হোসেন,শাশুড়ি রাহিমা হুসাইন প্রমূখ্য বক্তব্য দেন।

এ ব্যাপারে নিহত জিদনির মা হাসনাহেনা বলেন,আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে যে কেও আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমি চাই দ্রুত ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনটা দেওয়া হোক। সেটা দেখে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো। আমি চাইনা জিদনির মত আর কারও মায়ের বুক খালি হোক।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *