পানিবন্দী এলাকার পরিস্থিতি পরিদর্শনে মসিক মেয়র
শহর প্রতিনিধি ঃ গত ক’দিনের ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে চরমভাবে। অনেকে নিজ বাসাবাড়ি ছেড়েও চলে যাচ্ছেন অন্যত্র। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এবং সৃষ্ট এ জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারই অংশ হিসেবে ৩ জুলাই দুপুরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড ভাটিকাশর ও বলাশপুরে পরিচালিত এসব কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।
এ সময় মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি। এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনটি বড় ড্রেন এর নির্মাণকাজ চলমান আছে। এ সংযোগগুলো সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্যও আমরা কাজ করছি। এ অঞ্চলে যেসব স্থানে পানি আটকে আছে সেসব স্থান থেকে পানি যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করা যায়, জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির দ্রুত অবসান ঘটবে।
এছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়র জলাবদ্ধতা নাগরিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ড্রেনের জন্য জায়গা ছেড়ে বাড়ি করতে হবে। পানি বের হওয়ার রাস্তা তৈরি করতে না পারলে জলাবদ্ধতার অবসান হবে না। এজন্য নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও অনেকে পাইলিং এর মাটি সরাসরি ড্রেনে ফেলে ড্রেনকে অকার্যকর করে দিচ্ছেন। অনেকে আবার ময়লা আবর্জনা, বোতল, বস্তা সহ কঠিন আবর্জনা ড্রেনে ফেলছেন। এর অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করতে হবে, না হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী, প্যানেল মেয়র ০৩ সামীমা আক্তার, কাউন্সিলর আব্বাস আলী মন্ডল ও মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সচিব মোঃ আরিফুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম মিঞা, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জহুরুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ মোঃ জিল্লুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজহারুল হক, ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দুলাল উদ্দিন মন্ডল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।