বেতন বোনাসের দাবিতে ময়মনসিংহে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সমাবেশ
শহর প্রতিনিধি ঃ ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন বোনাসের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (২ এপ্রিল) ময়মনসিংহে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ। সকাল ১১টায় শহরের প্রেসকাবের সামনে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি মুখলেছুর রহমান দুলাল এবং পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের জেলা কমিটির সভাপতি মাহতাব হোসেন আরজু, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন, হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমান, দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাবলী আকন্দ এবং রিক্সা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আছির উদ্দিন কুরবান। এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত থাকেন ময়মনসিংহ জেলা মটরস ওয়ার্কসপ মেকানক্সি ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বাবুল ও ময়মনসিংহ জেলা মটরসাইকেল ওয়ার্কসপ মেকানিক্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহমান টমনসহ বিভিন্ন বেসিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি শ্রমিকের বেতন বোনাস নিয়ে প্রতিবছরই ঈদের আগে মালিকরা টালবাহানা করে। দেখা যায় বেতন বোনাসের দাবিতে ঈদের দিনও শ্রমিকদের রাস্তায় অবস্থান করতে হয়। অনেক সেক্টরে ঈদের দিন সকালে নামকাওয়াস্তে বোনাস প্রদান করা হয়, যা দিয়ে তখন আর কেনাকাটা করার সময় থাকে না। অথচ শ্রমিকদের পরিবার তীর্থের কাকের মত তাদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু সেসব শ্রমিকরা যখন বোনাস পায় না, তখন উৎসবের বদলে পরিবারগুলিতে মানবেতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরকম পরিস্থিতি প্রতিবছর ঘটলেও সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো তেমন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে না। তাই ২৫ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধের আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রিক্সা শ্রমিকরা কোন মালিকের কাছ থেকে রিক্সা ভাড়া নিয়ে মালিককে নির্দিষ্ট জমা দিয়ে রিক্সা চালায়। কিন্তু ঈদ উৎসবে এসব রিক্সা শ্রমিকদের মালিকরা কোন প্রকার বোনাস প্রদান করে না। তন্মধ্যে ঈদ মৌসুমে বিভিন্ন রুটে রিকসা চলাচল সীমিত করে সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ প্রশাসন শ্রমিকদের উপর বিভিন্নরকম নির্যাতন চালায়। পালাবদলের কথা বলে রিক্সা শ্রমিকদের কাছ থেকে নামে বেনামে চাঁদা আদায় করলে শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা আরও কঠিন করে দেয়া হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ রিক্সা শ্রমিকদের উপর চাঁদা আদায়সহ নির্যাতন বন্ধের আহবান জানান।