জাতীয়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

জলঢাকায় কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা

হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকা হিমালয়ের কাছে হওয়ায় আশ্বিনের শেষ সময় এসে গত কয়েকদিন ধরেই কুয়াশাই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোরে চারপাশ থাকে কুয়াশাচ্ছন্ন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত কুয়াশার দেখা পাওয়া যায়। সকালের দিকে সকল প্রকার যানবাহনে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। ভোরে ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার স্নিগ্ধতার মাখামাখিতে নীলফামারীর জলঢাকা এখন এক অন্যরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। কুয়াশায় মাখা হালকা ঠান্ডায় মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লি,সহ হাটতে ও বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষেরা। কুয়াশার কারনে এবার এখনই শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তারপরও রাতের বেলা ফ্যান চালাতে হচ্ছে।

কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া গ্রামের মানিক জানান, আজ কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা দেখা গেলেও গরম কমেনি। তাই এখনও ফ্যান চালাতে হচ্ছে। বর্তমান দিনে গরম আর রাতে হালকা শীত। বর্তমান সময়ে এই কুয়াশাই মনে করিয়ে দেয় যে শীতের আগমন হচ্ছে। পৌর শহরের কলেজ পাড়ার লেলিন বলেন,গত বছর আশ্বিনের মাঝামাঝি সময় কুয়াশা পড়েছিল। এবার একটু দেরিতে কুয়াশা দেখছি। শীতের প্রভাব আসছে। গত কয়েকদিন আগে বৃষ্টি পড়েছিল তারপরেই গরম ও কুয়াশা। এসব মিলিয়ে আমাদের এই বাংলাদেশের ছয় ঋতুর কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে।

ইজি বাইক চালক মাওলা বলেন, কুয়াশা মানেই শীত আসার নমুনা। এ মৌসুমে আজ প্রথম কুয়াশা দেখেছি। ভোরে হাটতে বের হওয়া ব্যবসায়ী মুকুল বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে কুয়াশা পড়ার কথা।তবে দেরিতে হলেও আজ কুয়াশা পড়ছে।

পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের পন্থাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবেদ আলী বলেন, শীত অনুভূত না হলেও কুয়াশা পড়ছে। এতে ঋতু পরিবর্তন হওয়ার পূর্বাভাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এ সময় এমন কুয়াশা স্বাভাবিক বিষয়।