দেশে কুকুরের চেয়ে বিড়াল পালনে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে
দেশে পোষা-প্রাণী পালনে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর মধ্যে কুকুরের চেয়ে বিড়াল পালনে মানুষের আগ্রহ বেশী। পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশী পোষা প্রাণী লালন-পালন করছে। বিড়াল পালনের ফলে তরুন প্রজন্ম অবক্ষয় ও মোবাইল আসক্ত থেকে মুক্তি পাচ্ছে এবং প্রাণীর প্রতি আগ্রহ,ভালবাসা বৃদ্ধির ফলে একাকীত্ব ঘুচে যাচ্ছে ও মানবিক গুনাগুন বাড়ছে। বিড়াল থেকে যেমন রোগ-বালাই ছড়াতে পারে কিন্তু বিড়ালকে যদি প্রতিষেধক টিকা দিয়ে রাখা যায় তাহলে মানুষ এবং বিড়াল উভয়েই রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পেতে পারে।বিড়াল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে,সে নিজে নিজেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হতে পারে। প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলতে পারলে নির্দিষ্ট জায়গায় বিড়াল মলমূত্র ত্যাগ সম্পন্ন করে।
ময়মনসিংহ ভেটেনারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে রবিবার বিড়ালের আচার-আচরন এবং সাধারন রোগ বালাই ও তার প্রতিকার শীর্ষক ২৮ অক্টোবর দিনব্যাপী বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ পরিচালক ড.মনোরঞ্জন ধর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভেটেনারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড.মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী সেমিনার বিষয়ে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা:মো: সফিউল আহাদ সরদার স্বপন, ভেটেনারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা: পারভীন সুলতানা, প্রভাষক ডা: জান্নাতুল ফেরদৌস ভেটেনারী সার্জন ডা: সুমাইয়া বিনতে জামান বিষদ আলোচনা করেন। বিভাগীয় কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড.কে.এইচ.এম.নাজমুল হুসাইন নাজির প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিড়ালের আচার-আচরন এবং সাধারন রোগ বালাই ও তার প্রতিকার শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় বিভাগের জামালপুর,শেরপুর,নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা এবংভেটেনারী সার্জনগন অংশ গ্রহন করেন।