কোটি টাকার কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনের নির্মাণ কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে কাজ বন্ধ থাকায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ রয়েছে। এতে দূর্ভোগে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ। ঠিকাদার উধাও হওয়ায় নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন মদন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
মদন উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের পদশ্রী সকাল বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এক হাজার মিটার ড্রেন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে নেত্রকোনার মামুন এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালের ২ জুন কাজটি শুরু করে ২০২৫ সালের ২ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে ১৫০ মিটার ড্রেন নির্মাণ করেছে। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকেই নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে। এতে সময় মতো কাজটি বাস্তবায়ন হবে কি না এ নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কাজ বন্ধ থাকায় দূর্ভোগ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের।
বুধবার সরেজমিন গেলে দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ড্রেনের প্রায় ১৫০ মিটার কাজ বাস্তবায়ন করেছে। কাজ বন্ধ থাকায় পানি নিষ্কাশনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ী স্থানীয়দের দূর্ভোগ বেড়ে যাওয়ায় তাদেও মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুন জানান, ‘পদমশ্রী সকাল বাজারে ড্রেনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ড্রেনের জায়াগা নিয়ে আগে থেকেই বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে জটিলতা ছিল। পরে বিয়ষটি নিস্পত্তি হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে কাজটি বন্ধ রয়েছে। কেন বন্ধ আছে তা আমার জানা নেই।’
জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী টুটন মিয়া জানান, প্রকল্প এলাকায় পানি ছিল তাই কাজ বন্ধ ছিল। এখন পানি সড়ে গেছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’
মদন উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রোমমান আরা বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকেই পদমশ্রী বাজারে ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদার। ড্রেনের কাজ শুরু থেকেই স্লাবের ফিনিশিং ভাল হয়নি। ঠিকাদার পরিবর্তন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। নতুন ঠিকাদার আসলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’