অন্যান্য

সিলেটে কমরেড আবদুল হক এর ২৯-তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত

২২ ডিসেম্বর’২৪ উপমহাদেশের কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা কমরেড আবদুল হক এর-২৯-তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার উদ্যেগে সন্ধ্যা ৬টায় এনডিএফ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট কুমার চন্দ্র রায়’র সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনডিএফ সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল ফজল, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখর সেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, এনডিএফ জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সহ-সভাপতি সজিব আহমদ, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, মীরের চক শ্রমজীবী সংঘের আহবায়ক আলী আহমদসহ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন কমরেড আবদুল হক সকল রূপের সুবিধাবাদ ও সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে মার্কসবাদ-লেলিনবাদের আপোষহীন সংগ্রামের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তাঁর নীতিনিষ্ঠতা, সর্বহারা চরিত্র, বিপ্লবী সাহস ও দৃঢ়তা, ব্যক্তিচিন্তা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্দ্ধে নিঃস্বার্থ নিবেদিত বিপ্লবী ভাবমানস, শ্রমিক কৃষক জনগণের মুক্তি সংগ্রামের উৎসর্গীকৃত প্রাণ, সহজ-সরল জীবনযাত্রা ও ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং এদেশের জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবী সংগ্রামের মহান দিক-নির্দেশনাকারী দৃষ্টান্ত।
নয়াউপনিবেশিক আধাসামন্ততান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এ যাবত অধিষ্টিত সকল সরকারই হচ্ছে সা¤্রজ্যবাদের দালাল সামন্ত আমলা মুৎসুদ্দি শ্রেণির স্বার্থরক্ষাকারী সরকার। তারা কখনোই জনগণের কথা ভাববে না-এটাই স্বাভাবিক।১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বা ১৯৭১ পূর্ব পাকিস্তানের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অধিকারের সংগ্রামে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন সামন্ত মুৎসুদ্দি শ্রেণীর প্রতিনিধিরা। যারা সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদকে চিরতরে উচ্ছেদের সংগ্রাম করতে পারেন না। আমাদের মত দেশে গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন হয়নি।

উল্লেখ্য কমরেড আবদুল হক ১৯২০ সালের ২৩শে ডিসেম্বর যশোর জেলার খড়কী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৬ সালে যশোর জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রাস পাশ করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ছাত্রজীবনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন এবং শ্রমিক শ্রেণীর মহান আদর্শ মার্কসবাদ-লেনিনবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং আজীবন তিনি এই আদর্শকে ধারণ করে তা এদেশের মাটিতে প্রয়োগ করার জন্য সারা জীবন উৎসর্গ করেন। ১৯৩৯ সালে হলওয়েল মনুমেন্ট ভাঙ্গার আন্দোলন, ১৯৪৩ সালে মন্বন্তরে কৃষকদের পাশে দাড়ানো, ১৯৪৪ সালে হাটতোলা বিরোধী আন্দোলন, ১৯৪৬ সালে তেভাগা আন্দোলন ইত্যাদিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি