ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হাওর প্রকল্পের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমামদের সাথে মতবিনিময়
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ইফা ‘হাওর প্রকল্পের’ মাধ্যমে হাওর অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়ন সম্পর্কে উদ্বুব্দকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমাম ও খতিবদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি ) সকালে কিশোরগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাওর প্রকল্পের ফিল্ড সুপার ভাইজার মোঃ রিপন মিয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইফার প্রশাসন বিভাগের উপপরিচালক একেএম মুজাহিদুল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথি কিশোরগঞ্জের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য ইমামদের সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেন। সমাজ থেকে গুজব ও কুসংস্কার দূর করার জন্য এবং সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইমামদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা। জেলার মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য খাল-বিলের পানি শুকিয়ে মাছ না ধরার সচেতনতা বৃদ্ধি করার কথা উল্লেখ করেন। একেই সাথে রোগ-বালাই দূর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন টিকা এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করার বিষয়ে মানুষকে সঠিক তথ্য প্রদানের আহ্বান জানান ইমাম-মুয়াজ্জিন-খতীবদের কাছে।
তিনি বলেন ‘হাওর এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ প্রকল্প ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এক্সপার্টরা বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন আর তা সামাজিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য ইমামরা ভূমিকা রাখতে পারেন তা বুঝতে পেরেই সরকার ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি আর্থিকভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদ ও সামাজিক অপরাধ দমনে ইমামরা ভূমিকা রাখবেন কারণ ইমামদের কথা সমাজের মানুষ শুনে। আপনারা সবাই এক থাকবেন।
উল্লেখ্য,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘হাওর এলাকায় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম ‘শীর্ষক প্রকল্পটি হাওর অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে।
হাওর এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সম্পর্কে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য যুগোপযোগী ও আধুনিক বিষয়ের উপর কুরআন-সুন্নাহর আলোকে খুতবা পূর্ব আলোচনা বা প্রাক খুতবা প্রণয়ন করার লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বছরের ৫২ সপ্তাহের জন্য ৫২ টি খুতবা পূর্ব আলোচনা বা প্রাক খুতবা প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এটি বাস্তবায়নের জন্য খতীবদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। এসময় ইফার মডেল কেয়ারটেকার হাফেজ ইমাম মাও মাসুম বিল্লাহ, হাফেজ মাও হুমায়ুন কবির মিল্লাতি,মাও সাদেকুজ্জামান খন্দকার, মাও আব্বাস আলীসহ সদর উপজেলার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ উপস্থিত ছিলেন।