হাত মেলাচ্ছেন বিরোধীরা, ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর বিদায় আসন্ন?
ডয়েচে ভেলে: ইসরায়েলে সরকার গঠনের চেষ্টায় নতুন মোড়। চরম দক্ষিণপন্থি নেতা বেনেট হাত মেলাচ্ছেন নেতানিয়াহু-বিরোধী জোটের সঙ্গে।
ইসরায়েলের সব চেয়ে বেশিদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকা নেতানিয়াহুর গদি এবার টলমল করছে। কারণ, বিরোধী জোটের সঙ্গে কথা বলছেন নাফতালি বেনেট। তিনি বিরোধী জোটে সামিল হলে নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান হবে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জন্য বিরোধী-জোট খুবই ক্ষতিকারক। তিনি দক্ষিণপন্থি পার্লামেন্ট সদস্যদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তারা যেন নেতানিয়াহুকে সমর্থন করেন।
গত মার্চে ইসরায়েলে নির্বাচন হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে চতুর্থ নির্বাচন। কিন্তু মার্চের নির্বাচনেও কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। নেতানিয়াহুর দাবি, ”বেনেট মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন এবং দেশের সঙ্গে জালিয়াতি করছেন।”
বেনেট একটি টেলিভিশন বক্তৃতায় বলেছেন, ”নেতানিয়াহু আর দক্ষিণপন্থি সরকার গঠন করতে উৎসাহী নন। তিনি নিজের দেশের থেকে নিজের ব্যক্তিস্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। আমি আমার বন্ধু ইয়াইর লাপিদের সঙ্গে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট গঠন করার জন্য ঝাঁপাবো।”
ইসরায়েলের মিডিয়ার রিপোর্ট হলো, যে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, তা হলো, নেতানিয়াহুর জায়গায় বেনেট প্রধানমন্ত্রী হবেন। পরে তিনি এই পদ ৫৭ বছর বয়সী লাপিদের জন্য ছেড়ে দেবেন। তবে এই সমঝোতার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়নি।
প্রস্তাবিত জোটে বামপন্থি, দক্ষিণপন্থি এবং মধ্যপন্থি দলগুলির থাকার কথা। তাদের মধ্যে একটাই মিল, তারা সকলে নেতানিয়াহুর শাসনের অবসান চান।
সাবেক অর্থমন্ত্রী লাপিদকে সরকার গঠনের জন্য ২ জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এর আগে নেতানিয়াহুকে সরকার গঠনের জন্য সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পারেননি। ১২০ সদস্যের পার্লামেন্টে বেনেটের দলের কাছে মাত্র ছয়জন সদস্য আছে। কিন্তু এই ছয়জনের সমর্থন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি। তিনি বিরোধী জোটে সামিল হলে তারা সরকার গঠন করতে পারবে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ”বিরোধী জোট সরকার কীভাবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে? আমাদের শত্রুরা কীভাবে এই সরকারকে দেখবে? ইরান ও গাজা নিয়ে তারা কী করবে? অ্যামেরিকার সঙ্গেই বা তারা কীভাবে আলোচনা চালাবে?”