অপহরণের ২২ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী
শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অপহরণের ২২ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত মাদ্রসা ছাত্রী (১৩)। গ্রেফতার হয়নি ঘটনার সাথে জড়িত কোন অপরাধী। ওই মাদ্রাসা ছাত্রী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের উত্তর কান্দুলী গ্রামের দিনমজুর কন্যা ও বাগেরভিটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী রাজু মিয়া ওই মাদ্রাসা
ছাত্রীকে বেশ কিছু দিন ধরে মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে মাঝে মধ্যেই উত্ত্যক্তসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই মাদ্রাসা ছাত্রী ও রাজু মিয়া প্রতিবেশি চাচা ভাতিজি সম্পর্ক। রাজু মিয়ার প্রস্তাবে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী রাজি না হয়ে প্রতিবাদ ও রাজু মিয়াকে অপমানও করে।আর অপমানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজু মিয়া আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত ২২ ডিসেম্বর রবিবার বিকালে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় রাজু মিয়াও তার সহযোগী মাইনুল, আইজল, জাহাঙ্গীরসহ আরো কয়েক জনের সহযোগিতায় ও মাদ্রাসা ছাত্রীকে বাড়ির সামন থেকে একটি সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ২৬ ডিসেম্বর এ বিষয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ২২ দিনেও অভিযোগটি মামলা হিসেবে আমলে নেয়নি থানা পুলিশ। উদ্ধার হয়নি অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী। গ্রেফতার হয়নি ঘটনার সাথে জড়িত কোন অপরাধী। বরং উল্টো অপরাধীরা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের পাঁয়তারার পাশাপাশি মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবারকে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনসহ অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। অপর দিকে মেয়েকে না পেয়ে পাগল প্রায় মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ঝিনাইগাতী থানার এস আই মো,জামাল মিয়া বলেন বিষয়টি তার আগে অন্য কর্মকর্তা দেখেছেন। পরে ওসি সাহেব বিষয়টি দেখার জন্য তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।