কৃষি ও শিল্পজাতীয়

আগুনে বসতঘর সহ সবকিছু পুড়ে ছাই;নিঃস্ব কৃষকের আর্তনাদ

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি :কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া নামাপাড়া গ্রামের কৃষক ইসমাইল মিয়া। পরিবার-সন্তান নিয়ে সুখে দিন অতিবাহিত হচ্ছিল তার। কিন্তু গভীর রাতের ভয়াবহ আগুন যেন তার জন্য অভিশাপ রুপে হাজির হলো। গত সোমবার রাতে আগুনে বসতঘর, গোয়াল ঘর,গোলা ভরা ধান,দীর্ঘদিনের জমানো অর্থ সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। শেষ হচ্ছে না তার আর্তনাদ!

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,গত সোমবার রাতে হঠাৎই গোয়ালঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে৷ সবাই যখন গভীর ঘুমে মগ্ন তখন আগুন আরও ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে থাকে।গোয়াল ঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বসত ঘরে। পুড়ে যায় ইসমাইল মিয়ার বসত ঘর,বসত ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র,দলিলপত্র ও জমানো টাকা পয়সা। এছাড়াও রান্নাঘরে রাখা ১৩০ মন ধান পুড়ে শেষ হয়ে যায়। এ অগ্নিকান্ডে একই গ্রামের মিলন মিয়া,আতাব মিয়ার বসত ঘর ভস্মীভূত হয়। তাছাড়া প্রতিবেশী স্বপন, মালেক,হেলিম,মিলন মিয়া,আতাব উদ্দিনের ৬ টি গোয়াল ঘর পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে হোসেনপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে এ ঘটনায় পিয়াস মিয়া নামের এক যুবত আহত হন। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী নাহিদ ইভা ও হোসেনপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ হোসেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক সেনা সদস্য আসাদ মিয়া জানান, গভীর রাতে সম্ভবত গোয়ালঘর থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷ কৃষক ইসমাইল মিয়ার সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। অন্যদের ও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

হোসেনপুর ফায়ার সার্ভিসের সাবস্টেশন অফিসার শামসুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস হাজির হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে রাস্তা সরু হওয়ায় ফায়ার গাড়ি যেতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এতে প্রায় কয়েকলক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।