অন্যান্য

কিশোরগঞ্জে জিডি করেও প্রাণে রক্ষা পায় নি ইমাম

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জ সদরের স্বল্পমারিয়া ইউনিয়নের লঙ্গারকোনা এলাকার নূর মসজিদের ইমাম মো. আকরাম হোসেনকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে কতিপয় সন্ত্রাসী। এরিপোর্ট লেখা পযন্ত (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইমাম মো. আকরাম হোসেন গত বুধবার, ৩ মে আনুমানিক রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কতিপয় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হোন। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কুপে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। এ ছাড়াও রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাতপ্রাপ্ত করে। বিশেষ করে হাতের আঙুল থেতলে দেয়া হয়। এ সময় ইমাম আকরামের চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে এলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।পরে তাকে ঐ রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর ইমামের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরদিন দুপুরে তাকে অধিকতর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে দ্রুত স্থানান্তরের পরামর্শ দিলে রোগীর স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সযোগে নিয়ে যায়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাসুদ মিয়া ও ফারুক মিয়াসহ তাদের ভাই ভাতিজারা ইমাম আকরামের বাড়ির গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে তারা ইমাম আকরামকে নানাবিধ গালিগালাজসহ জান-মাল ধ্বংসের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে আকরাম স্থানীয় সিদ্দিক মেম্বারসহ অন্যান্যের স্মরণাপন্ন হলে তারা কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে আকরাম সঠিক সময় উপযুক্ত বিচার না পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দাউদ ও পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ-এর কাছে মৌখিক অভিযোগ করলে তারা এস আই নয়নের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা পায়। পরবর্তীতে পুলিশী আলোচনার মধ্যস্থতায় কেটে নেয়া গাছের মূল্য ফেরত দিতে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা বাধ্য হয়।
মূলত: পুলিশের চাপে টাকা ফেরত দেয়ার পর থেকেই অভিযুক্তরা আকরামের উপর অধিকতর আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠে এবং তাকে দেখে নেয়ার পাশাপাশি মেরে ফেলার প্রকাশ্য হুমকি দিতে থাকে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ১ মে আকরামকে পুনরায় মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর থেকেই তারা তাকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এ দিকে আকরাম নিজের জীবননাশের ঝুঁকি অনুভব করে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। জিডি নং- ৫২, তারিখ- ১ মে ২০২৩ ।

এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই মো. নাইমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ থাকায় সর্বশেষ আইনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ইমাম আকরামের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখকে মোবাইল ফোনে অবগত করলে তিনি এ ব্যপারে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার ও এর অনুলিপি তাঁর বরাবর পাঠানোর কথা বলেন এবং বিষয়টি তিনি যথাযথভাবে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *