অন্যান্যজাতীয়

কিশোরগঞ্জে ৫ মাসেও সন্ধান মিলছে না আনারের

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ সদরের লতিবাবাদ ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের গোলজার আহমেদের ছেলে অটো চালক আনার মিয়া (৩৮) কে গত ৫ মাস যাবত খোঁজে পাচ্ছে না পরিবার। শিশু সন্তানেরা বাবার জন্য ও স্ত্রী স্বামীর জন্য অপেক্ষার প্রহর কাটছেই না। ছোট্ট শিশুরা বাবার ছবি বুকে নিয়ে সারাক্ষণ কান্না করছেন। পরিবার পরিজন আতœীয় স্বজনেরা অনেক খোাঁখোঁজি করেও সন্ধান পাচ্ছেন না আনারের। আনারকে না পেয়ে পরিবারে হতাশা নেমে এসেছে। এ বিষয়ে আনারের স্ত্রী সুমা আক্তার বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন।

অভিযোগে সুমা আক্তার উল্লেখ করে বলেন, আমি একজন গৃহিনী। আমার স্বামী আনার মিয়া (৩৮), পিতা- গোলজার আহম্মেদ, সাং- লতিবাবাদ নামাপাড়া, থানা ও জেলা-কিশোরগঞ্জ এর সাথে বিগত ০৪ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। আমাদের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। আমি ঢাকায় থাকিয়া কাজ করি। এমতাবস্থায় গত ২৫ এপ্রিল দুপুর অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী আনার মিয়া তাহার বাড়ীর কাউকে কিছু না বলিয়া কোথায় যেন চলিয়া যায়। পরবর্তীতে আমি ঢাকা হইতে সংবাদ পাইয়া আমার স্বামীকে বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করিয়াও আমার স্বামীর কোন সন্ধান পাই নাই। আমার স্বামীকে সম্ভাব্য সকল স্থানে সহ আমাদের আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজাখুজি করিয়া না পাইয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করি। আমার স্বামীর গায়ের রং শ্যামলা, উচ্চতা অনুমান ০৫ ফুট ০৩ ইঞ্চি।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আবু সাহেদ বলেন, আমার মেয়ে সুমাকে সদরের লতিবাবাদ নামামাপাড়া গ্রামের আনারের কাছে বিয়ে দেওয়ার পর ভালোই চলছিলো। গত ৫ মাস যাবত জামাই নিরুদ্দেশ। বর্তমানে এক নাতী শিশু আরিফুল ইসলাম ও মেয়ে শিশু ফারিয়া জাহান নোভা আমার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তাদেরকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াইতেছি। সারাক্ষণ বাবার জন্য কাঁদে। বাবাতো আর ফিরে আসে না।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।