কেন্দুয়ায় শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলার আসামীকে গ্রেফতারের দাবী
কিশোর শর্মা-কেন্দুয়া প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা। ধর্ষণকারীর মা বাবার কাছে বিচার চাইতে গেলে ভিকটিমের মা ও বাবাকে মারপিট করেছিল ও নানান ধরণের হুমকী প্রদান করছিল এমনকি আসামীগণ জামিনে বাহির হয়ে এখনও কয়েকবার ভিকটিমের বাবা-মাকে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।
এঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৩ মে রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে। মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া পৌর শহরের কান্দিউড়া গ্রামে বিবাদীর বাসার সামনে চা স্টলে ভিকটিম একা একা আইসক্রিম কিনতে গেলে দোকানে কোন লোকজন না থাকায় এই অবুঝ সাড়ে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় প্রান্ত ওরফে বাবু।
তখন মেয়ে কান্নাকাটি করে বাড়ীতে গেলে ঘটনা শুনে মা ও বাবা ধর্ষকের বাড়ীতে বিচার চাইতে যান তখন তাদেরকেও মারপিট করে আহত করে বাবু পরিবারের লোকজন। এসময় তাদেরকে বিভিন্ন রকমের হুমকী দেয় আসামীপক্ষ।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিমের বাবা এখলাস উদ্দিন বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, মারপিট ও হুমকীর অভিযোগে প্রান্ত ওরফে বাবু’কে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। এ মামলার অন্য আসামীরা হলেন- মো: হারুন মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী লিপা আক্তার (৫০), ছোট ছেলে অপূর্ব (২০), একই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে মো: রতন মিয়া (৪৫)।
সোমবার ২৪ মে মামলার আসামী মো: হারুন মিয়া, হারুন মিয়ার স্ত্রী লিপা আক্তার, ছোট ছেলে অপূর্ব’কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছিল কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
শনিবার ২৯ মে সকালে সরজমিনে গেলে মামলার বাদী মো: এখলাছ মিয়া ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানান-আমার সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল, বিচার চাইতে গিয়েছিলাম বলে আমাদেরকে মারধর করেছিল। আর এখন তাহারা জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আবারও হুমকি দিচ্ছে। পলাতক মুল আসামী বাবু’কে জরুরি গ্রেফতার করা হোক, এর সুষ্ঠ বিচার চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই।
এদিকে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহনেওয়াজ কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছিল, তাহারা জামিনে এসেছে। মূল আসামীসহ বাকীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।