গরম তেল ঢেলে নারী শ্রমিককে গুরুতর আহত করায় তীব্র ক্ষোভ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি হোটেল শ্রমিক ফেডারেশনের
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারায় অবস্থিত মিতু হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিক ফারুক কর্তৃক ঐ হোটেলে কর্মরত মহিলা বাবুর্চিকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে গরম তেল ঢেলে দগ্ধ করে চরম নির্যাতন করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এক যুক্ত বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশের সাথে সাথে এ ঘটনায় দায়ী দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ গুরুতর আহত শ্রমিকের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দাবি করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, উপজেলার চন্ডিহারা কোয়ালীপাড়ায় বগুড়া-রংপুর বিশ্বরোড সংলগ্ন মিতু হোটেলে গরম তেলে পুড়ে যাওয়া শ্রমিক জাহেদা বেগম ১৫ বছর আগে বাবুর্চির চাকুরি নেন। তার রান্নায় আকর্ষিত ও বিশ^স্থ হয়ে হোটেলে দিন দিন কাস্টমার বাড়তে থাকে। এই সুযোগে হোটেল মালিক বেশি মুনাফার আশায় নষ্ট হয়ে যাওয়া পচা-বাসী খাবারও চালিয়ে দেয়ার জন্য জাহেদা বেগমকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছেন। কিন্তু জাহেদা বেগম মালিকের প্রস্তাবনানুযায়ী কাস্টমারদের সাথে প্রতারণা করতে পারবে না বলে মালিকের প্রস্তাবকে অস্বীকৃতি জানায়। এতে হোটেল মালিক ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে আরো দুই জন সঙ্গীয় ফোর্সসহ গত ১ লা জুন জাহেদা বেগমের উপর গরম তেল ঢেলে দেয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, অমানবিক ও বর্বর জাতীয় এ ঘটনায় আহত শ্রমিক জাহেদার অবস্থা এখন চরম আশঙ্কাজনক এবং তিনি জীবনের সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হোটেল মালিক ফারুক সহ সকল আসামিদের কে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। সেইসাথে নির্যাতিত অসহায় নারী শ্রমিক জাহেদা বেগমকে সু-চিকিৎসা প্রদাান, তার ১৫ বছরের চাকুরির সার্ভিস বেনিফিট প্রদানসহ গুরুতর আহত করার কারণে যথাযথ ক্ষতিপূরণের জোর দাবি জানান ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)