জংগলবাড়ির সংস্কার সংরক্ষণ উন্নয়ন ও জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত ভূমির দখলনামা হস্তান্তর
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত সংরক্ষিত পুরাকীর্তিকে কেন্দ্র করে জঙ্গলবাড়িতেই ‘ঈশা খাঁ স্মৃতি জাদুঘর’ গড়ে তোলার লক্ষে জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণকৃত জমির দখলনামা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজংগলে অবস্থিত মহাবীর ঈশা খার স্মৃতি বিজড়িত জংগলবাড়ির সংস্কার সংরক্ষণ উন্নয়ন ও জাদুঘর নির্মান প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত ৯.৯৮ একর ভূমির দখল প্রত্যাশী সংস্থা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে সরেজমিনে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণ শাখা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রত্যাশী সংস্থার পক্ষের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লালবাগ কেল্লার কাস্টোডিয়ান মু. মোখলেছুর রহমান ভুঁইয়া , সহকারী কাস্টোডিয়ান তানজিলুর রহমান, সার্ভেয়ার লোকমান হোসেন, ফটোগ্রাফার শুভ্র পাল, সাইট পরিচারক মো: আমিনুল হক, দেওয়ান জামাল দাদ খান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার কানুনগো মো: তোফাজ্জল হোসেন,সার্ভেয়ার মো: মহসিন মিয়া, শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রত্নকর্মী আমিনুল হক সাদী মহামান্য রাষ্টপতির বরাবর ঈশা খা ও চন্দ্রাবতীর বাড়ি জাদুঘর নির্মাণের জন্য আবেদন জানালে সেপ্রেক্ষিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পত্রের আলোকে অনুরোধ জানালে মন্ত্রণালয়ের একটি টিম ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব হান্নান মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত জঙ্গলবাড়ি, এগারো সিন্দুর দুর্গ, আদি বাংলা কবি চন্দ্রাবতীর বসত ভিটা ও মঠ নিদর্শনস্থল পরিদর্শন করে। এরপর ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত ও সংরক্ষিত পুরাকীর্তিকে কেন্দ্র করে জঙ্গলবাড়িতেই ‘ঈশা খাঁ স্মৃতি জাদুঘর’ গড়ে তোলার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে ডিজিটাল সার্ভে করে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবনা দেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঈশা খাঁ স্মৃতিবিজড়িত জাদুঘর নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বাড়িটির অধিগ্রহণ বাবদ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৫ কোটি টাকার চেক তৎকালীন জেলা প্রশাসক সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর । দীর্ঘ বছর জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার মাধ্যমে ৯.৯৮ একর জমি অধিগ্রহণ করে আজ তা সরজমিনে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে দখলনামা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কবি চন্দ্রাবতীর স্মৃতি বিজড়িত জাদুঘরটির জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।