জলঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে বিজয় দিবস পালিত
নীলফামারী প্রতিনিধি: টিভিতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দেখে নাতনীকে সাথে নিয়ে দাদি রেজিয়া বেগম এসেছেন ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ শহীদ মিনারে এদেশের সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে । তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন এখানে না আসলে বুঝবারে পাইতাম না কি সুন্দর হইছে শহীদ মিনারটি। এত মানুষ দেখে ভালো লাগছে। এরকম অনেক শিশু কিশোরসহ বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর মানুষের ঢল নেমেছে নীলফামারীর জলঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্বাধীনতা যুদ্ধের শ্রেষ্ট
সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে।
এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হয়। সোমবার ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনি ও সকল সরকারি বেসরকারি ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসুচির শুভ সুচনা করা হয়। ভোরে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন । এরপর একে একে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুলিশ প্রশাসন, পৌর সভা,এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপজেলা ও পৌর জামাযাত ইসলামী, বিএনপি, জলঢাকা প্রেসক্লাব, উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল,যুবদল,শ্রমিক কল্যান ফেডারেশ,জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস),তাতী দল,ছাত্র দল,মটর শ্রমিক ইউনিয়ন,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটি,গনঅধিকার পরিষদ, আল আকসা মডেল মাদরাসা, ফিউসার ড্রিম একাডেমি, সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশা ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয মিছিল সহকারে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
পুষ্প মাল্য অর্পণ শেষে স্ব স্ব সংগঠন আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল করে। এদিকে উপজেলা পরিষদ হলরুম উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা ও বিজয় দিবসের আলোচনা সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেজওয়ানুল কবির চৌধুরী, থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
পরে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া শহীদদের মঙ্গল কামনায় মসজিদ, মন্দির, গির্জায় বিশেষ মোনাজাত-প্রার্থনা ও হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।