জাতীয়রাজনীতি

ডা. আশিকুল আলমের ২৮তম  মৃত্যুবার্ষিকী: নিপীড়িত জাতি ও জনগণের  সাম্রাজ্যবাদবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান

 

সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ, আমলা দালালপূঁজি বিরোধী সংগ্রামের অগ্রসেনানী ডা. আশিকুল আলমের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)’র উদ্যোগে বিকাল ৪ টায় গুলিস্তানে অবস্থিত সংগঠনের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি ডা. ব্রি. জেনা (অব.) এম জাহাঙ্গীর  হোসেনের সভাপতিত্বে  আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি এডভোকেট মনসুর হাবিব, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন,  বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহিমা জামালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন এনডিএফ’র সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত।
সভায় বক্তারা বলেন, এনডিএফ’র অন্যতম কেন্দ্রিয়নেতা ডা.  আশিকুল আলম ছিলেন ৬৯’এর গণঅভ্যূত্থানের অন্যতম রূপকার।  তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বিপিএমপি-এর সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  ডাঃ আশিক এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় ছ্রাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ষাটের দশকের গোড়ার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ সমর্থিত ‘অভিযাত্রিক’ এবং ছাত্র ইউনিয়ন সমর্থিত ‘অগ্রগামী’ নামে দু’টি সংগঠন ছিল। ‘অগ্রগামী’ সংগঠনটি সে সময় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যম ছিল। অধিকাংশ মেডিকেল ছাত্রছাত্রীর কাছে ‘অগ্রগামী’ সে সময় গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। ডা. আশিক তাঁর ছাত্র-রাজনীতির সূচনাতে ‘অগ্রগামী’র ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার একজন সমর্থক ছিলেন। ১৯৬৭-৬৯ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জি.এস) নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি ছিলেন তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের প্রগতিশীল অংশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শুল্কযুদ্ধ-বাণিজ্যযুদ্ধের প্রক্রিয়ায় বিশ্বযুদ্ধের বিপদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটছে। ফিলিস্তিনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদে ইসরাইলের সেনাবাহিনী বর্বরোচিত গণহত্যা চালাচ্ছে। বিশ্বের নিপীড়িত জাতি ও জনগণের উপর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহ  যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে। এর থেকে মুক্তির জন্য সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ প্রতিরোধে বিশ্ব শ্রমিক শ্রেণিকে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। ডা. আশিকুল আলম আজীবন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেশের শ্রমিক কৃষক জনগণকে নিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন।