প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে ময়মনসিংহে মারধোর করে অপহরণ; গ্রেফতার হয়নি কেউ
স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে গত ১০ জানুয়ারি দূর্বৃত্তরা ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া মোড়ে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠকর্মী মাহবুব আলমকে। এ ঘটনায় ১৪ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত রহস্যজনকভাবে আসামীদের কেউ গ্রেফতার হয় নি। কোতোয়ালি থানার মামলা নং- ৪৩,তাং-১৪/০১/২০২৫।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ১০ জানুয়ারি বেলা ২টা ৫৮ মিনিটে মাহবুব আলম ও তাঁর সহকর্মী ওবায়দুল হক ওরফে রাসেল (৩৫) চরপাড়া সরগরম হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওবায়দুল হক নেত্রকোনা সদর উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠকর্মী। ওই অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা মারতে মারতে তুলে নিয়ে যান মাহবুবকে। মাহবুবকে রক্ষায় ওবায়দুল হক এগিয়ে গেলে তাঁকেও গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর চোখে বেঁধে মারতে শুরু করেন তাঁরা। গাড়ি চলতে থাকা অবস্থায় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে আরও মারধর শুরু করা হয়। ওই অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে মাহবুব ২২ হাজার টাকা ও ওবায়দুল ১৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আনান তাঁরা। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে পুলিশকে জানান। তখন পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে।
পরে রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরের রহমতপুর বাইপাস এলাকায় দুজনকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যায় চক্রটি। পরে পরিবারের সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাঁদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তুই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সংগঠনের পদ ছাড়বি ও চাকরি ছাড়বি, না হয় তোকে জীবনের তরে শেষ করে দিব। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আলামিন ভুইয়া, শামসুল আরেফিন,বেলায়েত খান,এনামুল হক,আবুল কাশেম,রুবেল,ইমন ফয়সাল, নুরুজ্জামান হোসেন, এসএম সাইফুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম,মাসুদ রানা,আজিজ বেপারি,জাকারিয়া রাব্বি তুহা,শাহারিয়ার রাসেল,এনামুল হক,ফেরদৌস বিন আলিমদের সাথে বাদির পূর্ববিরোধ ছিলো এবং বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমানও আছে। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনজন লোক মিলে এক ব্যক্তিকে কিলঘুষি মারছেন। টানাহেঁচড়া করে মারার এক পর্যায়ে রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়েন ব্যক্তিটি। ওই অবস্থায় লোকজন জড়ো হতে থাকলে একটি রিকশায় করে সেখান থেকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয় ব্যক্তিটিকে।’
মাহবুব আলম বলেন, ‘যারা আমাকে মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায়, তাদের কাউকে চিনি না, তবে দেখলে চিনতে পারব। তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছে, কেউ হয়তো তাদের দিয়ে এ কাজ করিয়েছে।পেশাগত কারণে আমি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এখানে পক্ষ-বিপক্ষ থাকায় আমাকে সরিয়ে দিতে কেউ ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমি চাই জড়িতরা শনাক্ত হোক এবং শাস্তির আওতায় আসুক।’