কৃষি ও শিল্প

ফুলপুরে ধানক্ষেতে ইঁদুরের উপদ্রব ও বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে ধানি ফসল,কৃষক দিশেহারা

বিল্লাল হোসাইনঃ ফুলপুর অঞ্চলের কৃষকের রোপনকৃত আমল ধানের ফসল নষ্ট হয়েছে বন্যার পানিতে। যে আমন ধান উঁচু জমিতে চাষ করা হয়েছে সেই ধান ইঁদুরে কেটে ধ্বংস করছে। মধ্যবিত্ত ধানচাষী ধারদেনা করে আমন ধান লাগিয়েছিল। অনেক গরিব চাষী টংকে জমি নিয়ে ধানের ফসল করে ছিল, সেই কৃষক দেনার দায়ে পড়েছে মহা বিপাকে। কৃষকদের প্রয়োজন সরকারি সহায়তার প্রণোদনা। সহজ শর্তে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করা। গত ৩ অক্টোবর ভারতের মেঘালয়ের প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের বন্যায় প্লাবিত হয় শেরপুর,ময়মনসিংহ, নেত্রকোনার উত্তরে সীমান্ত অঞ্চল। ৪ অক্টোবর থেকে বকশীগঞ্জের চল্লাখালি নদী,শ্রীবরদীর ধনা কুসা,কর্ণজোড়া, নালিতাবাড়ির মালিঝি, কংস, ভোগাই এই ৬ টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫ই অক্টোবর বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে থাকে।

৬ অক্টোবর ভাটপাড়া রাজঘাট ভেড়িবাদ ভেঙ্গে ফুলপুরের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়। এই অঞ্চলে কৃষকদের রূপকৃত আমন ফসল সমস্ত পানির তলে তলিয়ে যায়। ১৫ অক্টোবর সোমবার নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে চলে যায়। ভারতের গোলা বালি এবং পলিযুক্ত পানির তলে ফসল ছিল ৯ দিন। এই ৯ দিন পানির তল থেকে ধানী ফসল পঁছে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে জেগে ওঠে।

বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে নিচু অঞ্চলের ধানের ফসল। যেসব জায়গায় বন্যার পানি ওঠেনি। এই সকল স্থানের ধানের ফসল ইঁদুরে কেটে ধ্বংস করছে। এবার ফুলপুর অঞ্চলের কৃষক হয়ে যাচ্ছে সর্বশান্ত। ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কৃষকরা রাত জেগে বাসের ফাঁদ কাঠের ফাঁদ পেতে ইঁদুর ধরার চেষ্টা করছে। রাত জেগে ধান খেত পাহারা দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার বিষ টুপ জিংক ফসফেট দিয়েও ইঁদুর দমন করা যাচ্ছে না।

ইঁদুরের গর্তে বিষবাষ্প প্রয়োগ করেও ইঁদুরকে মারা যায়না। এছাড়াও সাইনোগ্যাস, ফসটক্সসিন ট্যাবলেট। বিষটোপ প্রয়োগে করে ইদুর দমন করা যাচ্ছে না। ইঁদুর কাটছে না এমন কোন ফসল নেই। কৃষকের ধানখেত,সবজি বাগান আনারস ক্ষেত,বীজতলা থেকে শুরু করে কৃষকের গোলার ধান, ব্যবসায়িকের গুদামের ধান, মহাজনের দোকানের মালামাল খেয়ে ফেলছে। অনেক কৃষক ধান ক্ষেতে ইদুরের জন্য বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে কৃষক নিজেই মারা যাচ্ছে। জিংক ফসফাইড বিষটোপ ঘন ঘন ব্যবহার করা উচিত না,কারণ জিন ফসফাইড মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তারপরও জিংক ফসফেড ব্যবহার করে আশানুরূপ ফল পাচ্ছে না কৃষক।

এ বিষয়ে এ অঞ্চলের কৃষকগণ সরকারী সহযোগিতা কামনা করে কৃষককে দেনা হতে মুক্ত করার পাশাপাশি ফসল রক্ষা করার অনুরোধ জানান।