বয়লারের পানিতে দগ্ধ হয়ে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ওএসকে শ্রমিক ফেডারেশনের
সাভারের আশুলিয়ার কুটুরিয়া এলাকায় এসডিএস ইয়ার্ন ডায়িং কারখানায় বয়লারের পানিতে দগ্ধ হয়ে কারখানার কর্মরত শ্রমিক হাসান (২৪) ও রাশেদুল (২২) এর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন। ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশের সাথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় কারখানা মালিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান। একই সাথে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী নিহতের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন নেতৃদ্বয়। দেশের মিল কলকারখানায় একের পর এক দুর্ঘটনার নামে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় নেতৃদ্বয় কারখানা কর্তৃপক্ষ ছাড়াও সরকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তসমূহের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মালিক ও সরকার কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। এর জন্য নেতৃদ্বয় মালিকের অতিরিক্ত মুনাফা লুট করার প্রবণতা ও সরকারের মালিক তোষণনীতির কারণে দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো উল্লেখ করেন, নিহত শ্রমিকদের মরদেহ হাসপাতালে থাকতেই নামকাওয়াস্তে টাকায় ক্ষতিপূরণের বিষয়টি রফাদফা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ, যা সুস্পষ্ট শ্রম আইনের তফসিল লঙ্ঘণ। এ ঘটনায় প্রমাণিত হয় কারখানা কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার নামে এ হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩ জুন কারখানায় কাজ করার সময় হাসানসহ ৫ জন শ্রমিক বয়লারের গরম পানিতে দগ্ধ হয়। শ্রমিকদের বরাত দিয়ে নেতৃদ্বয় জানান, কারখানায় বয়লারের ত্রুটি দীর্ঘদিন ধরে। এই বয়লারের পানি গায়ে পরে প্রায়ই শ্রমিকরা আহত হয়। কিন্তু কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয় না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঈদের আগেও একজন শ্রমিকের গায়ে গরম পানি পড়ে গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন সময়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। কারখানায় বয়লারের ত্রুটিজনিত কারণে হাসান ও রাশেদুল ছাড়াও বয়লারের গরম পানিতে দগ্ধ হয় আনোয়ার (২৪) ওয়াশিম (৩৫) ও সন্দীপ (২৫)। নেতৃদ্বয় আহত শ্রমিকদের জন্যও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)