জাতীয়

ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা মহাসড়কে চাঁদাবাজি : গ্রেফতার-৩

আনোয়ার হোসেন শাহীনঃ ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা মহাসড়কে গৌরীপুর উপজেলার বেলতলী এলাকায় বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারি রাতে লাল নিশান (বিপদজ্জনক সংকেত দেখিয়ে) উড়িয়ে চাঁদাবাজিকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩জন গ্রেফতার হয়েছে। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি/২৫) মামলা হয়েছে। এ মামলা দায়ের করেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জঙ্গলবাড়ি এলাকার মো. আব্দুল কদ্দুছের পুত্র আবুল কাসেম। মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মাযহারুল আনোয়ার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরকেও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা মহাসড়কে বালুরগাড়ি, চিনির ট্রাক, পাথর বোঝাই ট্রাকসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনে শ্যামগঞ্জ থেকে শম্ভুগঞ্জ এলাকার মধ্যবর্তী বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে একটি চক্র। দুর্গাপুরের ট্রাক চালক সাইফুল ইসলাম জানান, রাস্তায় লাল নিশান উড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, বিপদসংকেত বুঝে দাঁড়ালেও ওরা চাঁদা দাবী করে। না দিলে চালক আর হেলপাড়দের নামিয়ে মারধরও করা হয়। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এ সড়কের বেলতলী বাজারের পশ্চিমে অটো রাইস মেইলের সামনে বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে কয়লা বোঝাই ট্রাকের চালক মো. রফিকুল ইসলামের নিকট ২০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনার খরব পেয়ে কয়লা ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ঘটনাস্থলে আসেন। বিষয়টি শ্যামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও গৌরীপুর সেনা ক্যাম্পকে অবহিত করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে এ সময় ৩জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন বেলতলী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. আব্দুল জলিল, মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র মো. মিজানুর রহমান (৪৫), মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. ফজলুর রহমান। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার অন্য আসামীরা হলেন বেলতলী গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র হাবিবুর রহমান সাজল (বুলেট), মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র কামরুল মিয়া, আজিজুর রহমানের পুত্র পিয়াস উদ্দিন, রহিমের পুত্র নাঈম মিয়া, মোতালেবের পুত্র হৃদয় মিয়া ও কাদের, রাকিব মিয়া, আকাশ মিয়া।