জাতীয়

শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর দিবসে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের শ্রদ্ধাঞ্জলি

৯০’র স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী ময়মনসিংহের দুই বীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর দিবস উপলক্ষে ২৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ সকাল ১০:০০ ঘটিকায় শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর এর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করে গণমূখী সংগঠন সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ, ময়মনসিংহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজ রূপান্তরের সংগঠক ইমতিয়াজ আহমেদ,শাহরিয়ার আহমেদ আশিক, সোহানুর ইসলাম সোহান, মো: রফিকুল ইসলাম রফিক, আবু সাইফ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, তানজিল হোসেন মুণিম, সাংবাদিক কামরুল হাসান প্রমূখ।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন শেষে বক্তব্য প্রদানকালে সমাজ রূপান্তরের সংগঠকগণ বলেন, এদেশে যুগে যুগে ফিরোজ জাহাঙ্গীররা জীবন উৎসর্গ করেন একটি সুন্দর সাম্যের আগামীর জন্য। যেখানে মানুষ তার মৌলিক অধিকার ভোগ করবে। দেশ হবে সকলের। রাষ্ট্রযন্ত্র নিবেদিত থাকবে সকল শ্রেণীপেশার মানুষের তরে। কিন্তু শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষা যুগে যুগে আর বাস্তবায়ন হয় না। শাসক আসে শাসক যায়, ফিরোজ জাহাঙ্গীরদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। ময়মনসিংহের শহীদ ফিরোজ -জাহাঙ্গীর এর আত্মত্যাগ সেদিনই সার্থক হবে যেদিন তাদের আকাঙ্খিত মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে বাংলার মাটিতে।

উল্লেখ্য, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ২৮ নভেম্বর সকাল ০৯:৪৫ ঘটিকায় মহাকালী স্কুলের সম্মূখস্থ সড়কে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মিছিলে বিনা উস্কানীতে পুলিশ সামনে থেকে সরাসরি গুলি করে। এতে মিছিলে থাকা ছাত্রনেতা শেখ মো: ফিরোজ ও মো: জাহাঙ্গীর আলম নিহত হন। ফিরোজ ছিলেন নাসিরাবাদ কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র ও বাংলাদেশ বিপ্লবী ছাত্রসংঘ ময়মনসিংহ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীর ছিলেন ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর ২য় বর্ষের ছাত্র ও জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একই ইন্সটিটিউট শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি