সমুদ্র উপকূলবর্তী নিম্মাঞ্চল গুলো ডুবে যাবার সম্ভাবনায় জলজ আগাছা নিয়ে গবেষণা করার আহবান
বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) অপ্রচলিত ক্ষুদ্র ও দেশীয় ফসলের সম্ভাবনা নিয়ে একটি গবেষণা অভিজ্ঞতা বিনিময় সেমিনারের আয়োজন করে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বিনার সেমিনার কক্ষে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও গবেষণা সমন্বয়ক ড. মো. হোসেন আলী। এছাড়া, সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন বিনার প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা পরিচালক ড. শরিফুল হক ভূঞা।
সেমিনারে মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ছোলায়মান আলী ফকির। তিনি দেশীয় ফসলের গুরুত্ব তুলে ধরে খাদ্য, পশুখাদ্য ও কৃষি-শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে এগুলোর সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন। এছাড়া, তিনি বেশ কিছু অপ্রচলিত উদ্ভিদের বহুমুখী ব্যবহারের ওপর আলোকপাত করেন। বিশেষ করে রঙিন চাল, রোজেল, কাসাভা এবং সজিনা পাতার বহুবিধ ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অধ্যাপক ছোলায়মান আলী ফকির স্যারকে কিভাবে ইউটিলাইজ করা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করবো। প্রয়োজনে স্যারের সাথে আমরা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করবো। তবে আমি বিনার বিজ্ঞানীদের বলবো জলজ আগাছা নিয়ে গবেষণা করা উচিত। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্র উপকূলবর্তী নিম্মাঞ্চল গুলো ডুবে যাবার সম্ভাবনা বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, তখন ওই জলজ আগাছা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।
অধ্যাপক ড. ছোলায়মান আলী ফকির বলেন, আমার গবেষণা জীবনে প্রায় এক ডজন বিভিন্ন প্রকারের ফসল নিয়ে কাজ করেছি। দেশের মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকেই আমার গবেষণাগুলো করা হয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার বিকল্প ও সস্তা মাধ্যমে হিসেবে অপ্রচলিত সবজির উন্নয়নে কাজ করছি।
তিনি রঙিন চাল, সজিনা পাতা, কাসাভা, অড়হর, চুকুর ইত্যাদি ফসল নিয়ে তার গবেষণার অভিজ্ঞতা ও জনস্বাস্থ্য এর ব্যবহারবিধি উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন।
এছাড়াও সেমিনারে গবেষক, বিজ্ঞানী ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।